দেশে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ চলছে। একটি সংবাদ মধ্যমে সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দাবি রাহুল গান্ধী আমেঠির পর রায়বেরেলি আসন থেকেও হারবেন বলে দাবি করেন অমিত শাহ। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে ৫টি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্প্রতি রায়বেরেলিতে এক জনসভায় অমিত শাহ রায়বেরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাহুল গান্ধীকে ৫টি প্রশ্ন করেছিলেন। ‘আমি রায়বরেলিতে রাহুল গান্ধীকে 5টি প্রশ্ন করেছিলাম এবং এখন আমি এখান থেকে একই প্রশ্ন করছি। রাহুল গান্ধীর এই ৫টি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বা না-তে দেওয়া উচিত। তাঁরা কি তিন তালাক ফিরিয়ে আনতে চান? তাঁরা কি মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডকে ফিরিয়ে আনতে চান? তারা কি সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে সমর্থন করেন কি না?” এদিনের সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে অমিত শাহ’র বাকি দুটি প্রশ্ন ছিল রামমন্দির ও ৩৭০ ধারা নিয়ে।
অমিত শাহ আরও প্রশ্ন করেন, ‘কেন তিনি অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় অংশ নেননি। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের সমর্থন করেন কিনা? তাঁর উচিত এই বিষয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করা। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমি আশা করি, নির্বাচনের আগে তিনি (রাহুল গান্ধী) এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন’।
অমিত শাহ বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্বে এনডিএ সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে চলেছে। আমরা অবশ্যই ৪০০-র সীমা অতিক্রম করব। অমিত শাহ বলেন, রায়বরেলিতে বিজেপির দীনেশ প্রতাপ সিং জিতবেন। রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে এখানেও আমেঠির মতোই অবস্থা হবে।’
তিনি কথায়, ‘নরেন্দ্র মোদী যা বলেন, তা-ই করেন। বিজেপি ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা অপসারণ করা হয়েছে। আমরা জিএসটি নিয়ে বলেছিলাম, তা চালু করেছি। একটি সাধারণ দেওয়ানি বিধি (Common Civil Code) আনার কথা বলেছিলাম। এটা উত্তরাখণ্ডে চালু হয়েছে। আমরা যা বলি তাই করি। রাহুল গান্ধীর প্রতিশ্রুতির কোনও মূল্য নেই।’
বিজেপি সরকার গঠন করলে এসসি/এসটি এবং ওবিসি থেকে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ বাতিল করবে কিনা জানতে চাইলে শাহ বলেন, ‘আমি বলিনি যে এসসি/এসটি এবং ওবিসি থেকে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ বাতিল করা হবে। পশ্চাদপদতা সমীক্ষার মাধ্যমে মুসলিম বর্ণের ওবিসি-দের জন্য ওবিসি-র সংরক্ষণের অবসান হওয়া উচিত নয়। কিন্তু কংগ্রেস তাতে সমস্ত মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই কথাটা ভুল। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করি না। পিছিয়ে পড়া বর্ণগুলি তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সামাজিক পশ্চাদপদতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।’