আরজি কর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভঙ্গুর চিত্র সামনে এসেছে। পাশাপাশি সামনে এসেছে, কতটা ভয়ের মুখে (Sexual harassment) পড়তে হয় ডাক্তারি পড়ুয়াদের। সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যাতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে (Sexual harassment)। জানা গিয়েছে, যে রাতে আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল, সেই রাতেই আর একটি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী যৌন নির্যাতনের (Sexual harassment) শিকার হয়েছিলেন। ঘটনা প্রকাশ্যে (Sexual harassment) আসতেই অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমানে এই মামলাটি হাইকোর্টের অধীনে রয়েছে। নির্যাতিতা কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি তাঁর বিভাগীয় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছিলেন। ঘটনায় সেই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই এদিকে সেই সময় আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্যসহ গোটা দেশ। সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন খারিজ করে দেন। পরে সেই অধ্যাপক কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। সেই জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যেতে পারে, তার ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই অভিযুক্ত অধ্যাপক নিজের জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।
জানা গিয়েছে, ওই নিগৃহীতা ছাত্রী আরজি করের প্রতিবাদ মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি সহকর্মীদের জানান বিষয়টি। সহকর্মীদের সাহসেই তিনি থানায় তাঁর বিভাগীয় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৩ অগস্ট অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবীরা অধ্যাপকের জামিনের বিরোধিতা করেন। ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় চার্জশিট গঠন করা হয়েছে। যদিও অধ্যাপকের আইনজীবী দাবি, করেন সেরকম কিছুই হয়নি ছাত্রীর ভুল বোঝাবুঝিতে একটা ঘটনা ঘটেছে। তবে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জামিন খারিজের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, চার্জশিট গঠন হয়েছে। এবার অভিযোগকারিনীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। তার আগে কোনওভাবেই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হবে না।