দীর্ঘ দুই বছর পর নিজের বাড়িতে ফিরলেন বীরভূমের ‘বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বাড়ির সামনে আসতেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) চোখে জল। সোমবার তিহাড় জেল থেকে সন্ধের সময় মুক্তি পান অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । তিহাড় জেল থেকে বের হওয়ার পর এক মুহূর্ত তিনি দিল্লিতে থাকতে চাননি। মেয়েকে নিয়ে তিনি সোমবার রাতেই কলকাতা চলে আসেন। মঙ্গলবার ভোরে তিনি (Anubrata Mondal) বীরভূমে আসেন।
কলকাতা বিমান বন্দরে নেমে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বোলপুরের জন্য গাড়িতে বসেন। মঙ্গলবার ভোরেই বাড়িতে পৌঁছান বীরভূমের বাঘ। সঙ্গে মেয়ে সুকন্যাও ছিলেন। এদিন নিচুপট্টির পার্টি অফিসে নিজের চেয়ারে বসে অনুব্রত মণ্ডল প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন। কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষও ছিলেন সেখানে। সেখানে বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সুকন্যা এদিন কথা বলতে গেলে বার বার তাঁর গলা বুজে আসে। কেঁদে ফেলেন। মেয়ের এভাবে ভেঙে পড়া দেখে আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডল। কান্না নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। তবে শেষ অবধি পারেননি। দু’হাত দিয়ে চেপে ধরেন চোখ।
জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে এদিন বিশ্রাম নিয়েছেন তিনি। চা এবং ওআরএস খেয়েছেন অনুব্রত। বিকাল নাগাদ রাঙাবিতানে যাওয়ার কথা অনুব্রত মণ্ডলের। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করার কথা রয়েছে বলেও জোর জল্পনা। দলীয় সূত্রের খবর, আগামিদিনে বীরভূম জেলার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে সেই নিয়েও সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা বলতে পারেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল।
দুই বছর পরে বোলপুরে ফেরেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে মঙ্গলবার স্বাগত জানাতে দলীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। যখন অনু্ব্রত মণ্ডল বোলপুরে পা রাখেন সেই সময় ঢাক, ঢোল, শঙ্খ, সবুজ আবির আর থিক থিক করছে মানুষের ভিড়। মঙ্গলবার ভোরে সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহারা হাজির সকলেই। অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের জেলা সভাপতি ছিলেন। কিন্তু অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর থেকে ওই পদ খালি ছিল।