তৃণমূলের জেলাসভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জেল থেকে ফিরে আসার পর গ্রামে ফিরে আসতে শুরু করেছেন অনুব্রত অনুগামীরা। অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জেলে যাওয়ার পর তৃণমূলের একাংশের চাপে তাঁরা গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় গ্রাম ছাড়া বেশ কয়েকজন অনুব্রত (Anubrata Mondal) অনুগামী তৃণমূল কর্মীরা হাটসেরান্দী গ্রামে ফিরে আসে। কয়েকজনকে দেখা যায়, তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন। তাঁরা প্রায় দুই বছরের বেশি সময় গ্রাম ছাড়া ছিলেন।
অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) নানুরের হাটসেরান্দী গ্রামে যান। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অনুব্রত অনুগামীরা। অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রাম থেকে চলে যেতেই তৃণমূলের একাংশ তাঁদের ওপর মারধর করে। খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। অনুব্রত অনুগামী পাঁচু থান্ডারকে এমন মারধর করা হয় যে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বোলপুরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে। নানুর থানার নানুর বিধানসভার হাটসেরান্দী গ্রামে জেলা সভাপতির গ্রামেই তার অনুগামীদের মারধর করা হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ পেতেই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন করে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য নানুর বিধানসভার দায়িত্বে রয়েছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তৃণমূল কর্মী খুদু বাগদী জানান, “দাদা জেলে যাওয়ার পর থেকে গ্রাম ছাড়া ছিলাম। দাদা আবার বীরভূমে ফিরতেই আমরা গ্রামে ফিরে এসেছি।”
নানুরে অনুব্রত ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা কেরিম খান জানান, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রামেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হচ্ছে। যারা মারছে তারা দলের লোক, যাদের মারা হচ্ছে তারাও দলের লোক। ঘটনাটি ঘটেছে কেষ্টদার গ্রামে। এই ধরনের ঘটনা গ্রামে গ্রামে ঘটলে প্রশাসনের এক্তিয়ারের বাইরে চলে যাবে। নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এই মারধরের ঘটনাটি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন।