অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া পর থেকেই বীরভূমের রাজনীতিতে চাপা উত্তেজনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেই চাপা উত্তেজনাকে প্রশমিত করে অবেশেষে বৈঠক হল অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও কাজল শেখের। শনিবার বোলপুরে তৃণমূলের জেলা অফিসে অনুব্রত-কাজল বৈঠক হয়। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুপস্থিতিতে কাজল শেখকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয়। এবার কাজল শেখের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করতে চান অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।
রবিবার বিকেলে কলকাতায় আসার কথা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। চিকিৎসককে দেখিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ফের সোমবার বোলপুরে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোলপুরে ফিরেই কাজল শেখের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করতে চান অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার বৈঠকের পরেই কাজল শেখের নম্বর নিজের মোবাইলে আছে কি না, চেক করে দেখেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর বলেন, “দেখ তোর নম্বর আমার কাছে রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত বুধবার পার্টি অফিসে বক্তব্য় রাখতে গিয়ে রীতিমতো হুঙ্কার দিতে শোনা যায় কাজল শেখকে। সেদিন তিনি বলেন, , ‘আমি পঞ্চায়েতের পার্সেন্টেজ খেতে আসিনি। আমি নদীর বালি তুলে খেতে আসিনি। লোকের জায়গা জোর করে দখল করতে আসিনি আমি। যদি বাঁকা পথে চলো, সোজা পথে আনার রাস্তা আমাদের জানা আছে। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে সব খবর সময়মতো পৌঁছে যাচ্ছে। পাঙ্গা নিতে এসো না, আমি চুড়ি পরে বসে নেই। অনেক ঘাটের জল পেটে আছে। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি সব খেলা খেলতে জানি। দাবা খেলাও খেলতে জানি, হাডুডুও খেলতে জানি। খেলা হবে গান শুনিয়ে লাভ হবে না বন্ধু।”
যদিও এই মন্তব্যের কদিন পরেই গলার স্বর বদলে যায় কাজল শেখের। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, অনুব্রত মণ্ডল আমার অভিভাবক। তবে বীরভূমের তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে কাজল শেখ ও অনুব্রত মণ্ডলের কথা হয়। পরে একান্তভাবে কাজল শেখ ও অনুব্রত মণ্ডলের বৈঠকের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই বৈঠক থেকে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ উঠে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।