একদিন আগেই জামিন হয়ে গেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। কিন্তু তিহাড় জেল থেকে তাঁর (Anubrata Mondal) মুক্তির বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তিহাড়ে জেলে এখনও জামিনের কোন কপি এসে পৌঁছায়নি। তাই শনিবার তিহাড় জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) মুক্তি পাবে কি না, সেই নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক জ্যোতি ক্লেয়ার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে জমা দেওয়া বিল বন্ডের যাবতীয় নথির কপি জমা দেওয়া হয়েছে ইডি অফিসেও। জামিন প্রক্রিয়া (Anubrata Mondal) খতিয়ে দেখছে ইডি বলে জানা গিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, শনিবার এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে তিহাড় জেলের নিয়ম অনুযায়ী, জামিনে মুক্তদের সন্ধ্যার পর জল থেকে বের করা হয়। তবে শনিবার তিহাড় জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডল মুক্তি না পেলে সোমবার তিনি তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাবেন। আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি দিল্লি বিমান বন্দরের দিকে রহনা দেবেন। তিনি বাংলায় ফিরে আসবেন। মুক্তির পর একদিনও তিনি দিল্লিতে থাকতে চাইছেন না।
বীরভূমের দাপুটে নেতা হিসেবে অনুব্রত মণ্ডল পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালের ১১ আগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করে। গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করে। প্রথমে তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন। সেখান থেকে ইডি তাঁকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ করে দিল্লিতে নিয়ে যায়। দুই বছর পর জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। জামিনে নিজের এলাকায় ফিরে পুরনো মেজাজে অনুব্রত মণ্ডল থাকবেন কি না, সেটা এখন সময়ের অপেক্ষা। কয়েকদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে জামিন পান। একই মামলায় ২০২৩ সালে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়। এতদিন তাঁরা দুজনেই তিহাড় জেলে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন অনু্ব্রত মণ্ডল। এবার ইডির মামলায় ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। বীরভূমের জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে ছিলেন অনুব্রত। গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি দল। অনুব্রতের ফেরার আশায় দিন গুনছিলেন তাঁর অনুগামীরা।