তিনি লিওনেল মেসি। ফুটবল মাঠে তার পায়ের জাদু নতুন কিছু নয়। পেরুর বিরুদ্ধে (Argentina) বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচেও সেই পুরোনো মেসিকে দেখা গেল। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ত্রিভুজাকৃতির ঘেরাও ভেদ করে এক নিখুঁত পাসে বল পাঠালেন লাওতারো মার্তিনেজের কাছে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে শূন্যে লাফিয়ে দুর্দান্ত এক কিকে বল জালে জড়ালেন মার্তিনেজ। তার একমাত্র গোলেই আর্জেন্টিনা পেয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ১–০ গোলের জয়।
প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচের পরাজয়ের ক্ষত নিয়ে লা বোমবেনায় মাঠে নেমেছিল স্কালোনির দল (Argentina)। এই জয়ে তারা ফিরে পেল আত্মবিশ্বাস আর ধরে রাখল দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শীর্ষস্থান।
এই ম্যাচে মার্তিনেজের গোলটি আর্জেন্টিনার (Argentina) জাতীয় দলের ইতিহাসে ১,৯৯৯তম গোল। পাশাপাশি মার্তিনেজ জাতীয় দলের জার্সিতে তার ৩২তম গোল করে ডিয়েগো মারাদোনাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। বর্তমানে দুজনই আর্জেন্টিনার পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলদাতা। মেসিও আন্তর্জাতিক ফুটবলে ল্যান্ডন ডনোভানের ৫৮ গোল বানানোর রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। তার আরেকটি অসাধারণ ম্যাচ কাটানোর দিনে এই রেকর্ড যুক্ত হয়েছে তার নামের পাশে।
পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনা নিয়েছে ১০টি শট, যার মধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্যে। পেরু একটি শটও নিতে পারেনি। প্রথমার্ধে হুলিয়ান আলভারেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো, এবং অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিট বাকি থাকতে মেসি ও মার্তিনেজ গোলের আরও দুটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। তবে জয়ের খিদে এবং প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার মানসিকতা স্পষ্ট ছিল পুরো ম্যাচজুড়ে।
এই জয়ের পর দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা (Argentina)। ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে স্কালোনির দল। ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উরুগুয়ে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে শীর্ষ ৬ দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে, আর সপ্তম দলকে খেলতে হবে প্লে-অফ।