দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, তাঁকে পরপর দু’বার ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ আড়িয়াদহকাণ্ডে (Ariadaha Lynching Case) ধৃত জয়ন্ত সিংয়ের মুক্তির দাবিতে এই হুমকি ফোন বলেও দাবি সৌগতর …
প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়কে প্রাণনাশের হুমকি ৷ তৃণমূলের সাংসদের অভিযোগ, তাঁকে পরপর দু’বার ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ আড়িয়াদহকাণ্ডে (Ariadaha Lynching Case) ধৃত জয়ন্ত সিংয়ের মুক্তির দাবিতে এই হুমকি ফোন বলেও দাবি সৌগতর ৷
বুধবার ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া সাংবাদিক বৈঠক করে জয়ন্তকে ‘হিস্ট্রি শিটার’ (যার দীর্ঘ অপরাধের রেকর্ড রয়েছে) বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, মারধরের ভিডিয়োটি ২০২১-এর। তা থেকে জয়ন্তের আট শাগরেদকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরও যাদের ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে না, তাদের অন্যান্য বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাটিতে বেলঘরিয়া থানা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ (বলপূর্বক আটকে রাখা), ৩৫৪ (শ্লীলতাহানি), ৩২৬ (অস্ত্র দিয়ে মারধর), ৩০৮ (খুনের মতো করে মারধর), ৫০৬ (ভয় দেখানো) এবং ৩৪ নম্বর (একই উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। যে হেতু ভিডিয়োগুলি বছর কয়েক আগের, তাই পুরনো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরপাল। তিনি বলেন, ‘‘ওই মারধরের ঘটনায় ছ’জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদেরও ধরা হবে।’’
আড়িয়াদহে ছেলে ও মাকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর ঘটনায় (Ariadaha Lynching Case) জয়ন্ত, সৈকত মান্না ওরফে জঙ্ঘা, সুদীপ সাহা ওরফে গুড্ডু আগেই গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মারধরের ঘটনায় যুক্ত করার পাশাপাশি নতুন করে অভিষেক বর্মণ ওরফে ছোট্টু, সুভাষ বেরা, সুমন দে-কে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছে। ছ’জনকে এ দিন মারধরের মামলায় ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানাচ্ছে, ২০২১ সালে আড়িয়াদহের বাসিন্দা রাহুল গুপ্তের বাড়িতে চুরি হয়। তাতে জড়িত সন্দেহে ওই যুবক ও যুবতীকে জয়ন্তের ‘আদালত’ তালতলা ক্লাবে নিয়ে এসেছিল রাহুলই। জয়ন্তের শাগরেদরা যুবককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ‘বিচার’ শুরু করেছিল। প্রশ্ন হল, কাউকে চোর সন্দেহ হলে, তা খতিয়ে দেখার জন্য তো পুলিশ রয়েছে। তা হলে ক্লাবে কেন আনা হয়েছিল?
তৃণমূল সাংসদের দাবি, তাঁর ফোনে দু’বার অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে ৷ সেখানে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘যদি জয়ন্ত সিংকে দ্রুত মুক্তি না-দেওয়া হয়, তবে গুলি করে খুন করা হবে সাংসদকে ।’ আড়িয়াদহকাণ্ডে কার্যত তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি ৷ ভাইরাল ভিডিয়ো সামনে আসতেই গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিংকে ৷ এরপরই সামনে আসতে থাকে জয়ন্তের সঙ্গে তৃণমূলের সখ্যতা ৷ কখনও মদন মিত্র, কখনও সৌগত রায়ের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে জয়ন্তকে ৷ এর মাঝেই দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদকে খুনের হুমকির সঙ্গেও জড়াল সেই জয়ন্তর নাম ৷