নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: ধর্মকে হাতিয়ার করে কুরবানির নামে পশুহত্যার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। উচ্চস্বরে আজানের পরে এবার প্রকাশ্যে কোরবানির বিরুদ্ধে সরব হলেন এই সাংসদ। আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানালেন তিনি।

এই নিয়ে একাধিক সংগঠন আপত্তি জানালেও রাজ্য সরকার কোনও গুরুত্ব দেয়নি বলে দাবি করেছেন অর্জুন সিং। অবিলম্বে বাংলার রাজ্য সরকার যাতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে তার জন্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের ওই সাংসদ। তাঁর কথায়, “বকরি ঈদ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে খোলা জায়গায় গরু, পাঁঠা বা অন্য কোন প্রাণিকে কেটে ফেলার বিরুদ্ধে আমি মহামান্য কলকাতা হাই কোর্টে একটি রিট দায়ের করেছি।”
পশু কুরবানি ইসলামিক রেওয়াজ। এতে তো মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। এই প্রসঙ্গে অর্জুন বলেছেন, “পরিবেশ রক্ষার্থে হিন্দুরা অর্গানিক হোলি বা দীপাবলী পালন করা শুরু করেছে। কেবল আলো জ্বালিয়ে, শব্দবাজি ব্যবহার না করে দীপাবলী পালন করা হয় এখন। কুরবানির পরে মৃত পশুর রক্ত নদীতে যায়। যার ফলে মারাত্মক দূষণ হয়।”
এই অবস্থায় অর্গানিক উপায়ে বকরি ঈদ পালন করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্জুন সিং। তিনি বলেছেন, “মুসলিমদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা প্রতীকী উপায়ে কুরবানি করুন। প্রিয়জনের ছবি কেক বা সন্দেশের উপরে বসিয়ে তা কেটে কুরবানি পালন করুন। এতে পরিবেশ বাঁচবে আর অন্য ধর্মের মানুষদের মনেও আঘাত লাগবে না। পশু হত্যা দেখতে কারোরই ভালো লাগে না।” অর্গানিক উপায়ে কুরবানির রেওয়াজ চালু হলে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় থাকবে বলেও দাবি করেছেন অর্জুন। একই সঙ্গে মুসলিমদের প্রতি তিনি আরও বলেছেন, “প্রতীকী কুরবানি আপনার আল্লাহ নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন।”
সপ্তাহ দুই আগে আজানের সময়ে লাউডস্পিকারের ব্যবহারের উপরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন অর্জুন সিং। যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল খোদ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের মুসলিম শাখা সংগঠন। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের বকরি ঈদে কুরবানির বিরুদ্ধে মামলা করলেন অর্জুন।উল্লেখ্য, চলতি বছরে বকরি ঈদ পড়েছে আগামী মাসের প্রথম দিন।