প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Scam) মামলায় বড় পদক্ষেপ। মঙ্গলবার কলকাতা আদালতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস (Primary Scam) সহ ৫৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এর একদিন আগেই (Primary Scam) প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছিল আদালত। চার্জ গঠনের তালিকায় (Primary Scam) রয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ সহ আরও অনেকে।
এদিন আদালতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, “আমি কোনও সরকারি পদে ছিলাম না। কী উদ্ধার হয়েছে আমি জানি না। আমি নির্দোষ।” কুন্তল ঘোষ দাবি করেন, “আমি প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার। বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
আদালতে বিচারক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগগুলো ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, অভিযুক্তরা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ সংগ্রহ করেছেন, গোপন করেছেন বা অপরাধ থেকে অর্জিত অর্থকে বৈধ বলে দাবি করেছেন। এর ভিত্তিতে PMLA আইনের নির্দিষ্ট ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে কুন্তল ঘোষ যখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলেন, তখন বিচারক তাঁকে থামিয়ে দিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, “কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ ধর্মতলায় বলুন, এখানে নয়।” বিচারকের এই মন্তব্য প্রক্রিয়াকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জামিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই চার্জ গঠন দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে অভিযোগ তুলে ধরা হয়। মামলার পরবর্তী ধাপে অভিযুক্তদের দোষী বা নির্দোষ প্রমাণের জন্য শুনানি হবে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সহ অভিযুক্ত সংস্থাগুলিও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছে। এখন দেখার, আদালতে প্রমাণের ভিত্তিতে কারা দোষী সাব্যস্ত হন আর কারা মুক্তি পান।