বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে রয়েছে (Terrorist)। সেদেশে আইনের শাসন নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল থেকে একের পর এক জঙ্গি (Terrorist) আটক করছে গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাংলাদেশের বাসিন্দা (Terrorist)। কেউ আবার পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হলেও তারা বাংলাদেশের জঙ্গি (Terrorist) সংগঠনের দ্বারা অনুপ্রাণিত। আসামের বিশেষ দল এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এবার আসরে নামল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তল্লাশি শুরু করেই সোজা মুর্শিদাবাদে পৌঁছে গেলেন এসটিএফ-এর সদস্যরা (Terrorist)। রবিবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হল দুজনকে (Terrorist)।তার মধ্যে একজন কেরল থেকে জঙ্গি (Terrorist) সন্দেহে আটক হওয়া ধৃত শাদ রাডির পিসতুতো ভাই।
রবিবার মুর্শিদাবাদের নওদায় তল্লাশি চালায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিশেষ দল। এরপরই শাদ রাডির পিসতুতো ভাইয়ের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরেই এসটিএসের দল তাকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে আটক অভিযুক্ত সজিবুল ইসলামের স্ত্রী হলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। পাশাপাশি সজিবুল ইসলামের এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জঙ্গি কার্যকলাপের কারণে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। কয়েকদিন আগেই জঙ্গি সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত মিনারুল শেখের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকেই সজিবুল ইসলাম ও মুস্তাকিমের সন্ধান পাওয়া যায়। মুর্শিদাবাদ থেকে আটক দুই ব্যক্তির সঙ্গে অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শাদ রাডি নামে এক ব্যক্তিকে আসাম পুলিশের বিশেষ শাখা কেরল থেকে গ্রেফতার করে। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন মুর্শিদাবাদে ভোটার তালিকায় শাড রাডির নাম রয়েছে। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারে, শাদ রাডির পিসতুতো বৌদি তৃণমূলের নেত্রী ও পঞ্চায়েতে সদস্যা। এদিন সাজিবুল ইসলামকে গ্রেফতার করায় হতবাক তাঁর স্ত্রী। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল, সেই বিষয়ে কিছু বুঝতে পারছেন না সাজিবুলের স্ত্রী।