সাংবাদিক বৈঠক করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। দুই নেতা উত্তরপ্রদেশের লখনউতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এই সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি অমিত শাহের জন্য ভোট চাইছেন, নিজের জন্য নয়। বিজেপি জিতলে ২-৩ মাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হবে যোগী আদিত্যনাথকে। শুধু তাই নয়, এরা (বিজেপি) সংবিধান পরিবর্তন করবে। কেজরিওয়াল আরও বলেন, ভোটের পরিসংখ্যান বলছে যে ৪ঠা জুন ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করতে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহকে তাঁর উত্তরাধিকারী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অমিত শাহের সামনে যে সব বাধা ছিল, তা দূর করা হয়েছে। শিবরাজ, রমন সিং, ফড়নবীশ, খাট্টার, রাজে… সবাই একের পর এক বাদ পড়েছে। কেবলমাত্র একজন ব্যক্তি আছেন যিনি তাদের জন্য কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন, তাই সেটিও অপসারণের জন্য একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
কেজরিওয়াল বলেন, ‘বিজেপি ৪০০টির বেশি আসন চাইছে। তিনি বলেন, ওদের (বিজেপি) হল, অনেক কাজ করতে হবে। আমি আপনাদের বলছি যে এই লোকেরা সংবিধান কাটা ছেঁড়া করার জন্য ৪০০ সিট চাইছে। আমার মতে, বিজেপি ২২০টিরও কম আসন পেতে চলেছে। হরিয়ানা, দিল্লি, পঞ্জাব, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান… এইসব রাজ্যে সিট কমতে চলেছে’।
সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। অশ্রুর নদী উপচে পড়ছে। বিজেপি ৪০০টির স্লোগান দিচ্ছিল। ওরা (বিজেপি) সবার আগে রিজার্ভেশনের ওপর আক্রমণ চালাবে। জনগণ তাদের ১৪০টি আসন দেবে কিনা সন্দেহ আছে। তারা কিছুই পাবে না। অখিলেশ যাদব বলেন, ‘রোটি কাপড়া মকান’-এর লড়াই তো লড়তেই হবে, কিন্তু প্রথমে সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। ইন্ডিয়া জোট বিজেপিকে উৎখাত করতে চলেছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও অখিলেশ যাদবের এই সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে বয়ান দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট ব্যর্থ হতে চলেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মল্লিকার্জুন খাড়গে বা রাহুল গান্ধীর সংবাদ সম্মেলনের কোনও প্রভাব পড়বে না। এটি দুর্নীতিগ্রস্তদের একটি জোট, যাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে শূন্য এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল উত্তরপ্রদেশে অপ্রাসঙ্গিক। বিজেপি দেশে ৪০০টি আসন এবং রাজ্যে (উত্তর প্রদেশ) ৮০টি আসন জিততে চলেছে।