সৌভিক সরকার,বারাকপুরঃ বারাসাত পৌরসভা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা আতঙ্কের শীর্ষচূড়ায় পৌঁছনোর সাথে সাথে আবার কোমর বেঁধে নাগরিক সুরক্ষা সচেতনতায় নামল পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারাসাত থানার শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে বারাসাত পৌরসভা এলাকায় চুয়াল্লিশ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে।কলোনী মোড় সহ বারাসাতের প্রাণকেন্দ্রে বারাসাত থানার পুলিশ ও ৱ্যাফ সচেতনতার অঙ্গ হিসেবে করোনা প্রতিরোধক পদক্ষেপগুলির নজরদারি করে। যাতায়াতকারী মানুষ মাস্ক পরছে কিনা দেখে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। মাস্ক না থাকলে কার্যত গান্ধীগিরির আদলে মাস্ক পরিয়ে মানুষকে সচেতন করছে পুলিশ।
খোদ বারাসাত থানার আই সি দীপঙ্কর ভট্টাচাৰ্যর নেতৃত্বে মুখে মাস্ক না থাকা বিভিন্ন যানবাহনে থাকা ড্রাইভার, আরোহী সহ পদাতিক মানুষজনকে মাস্ক পরতে বাধ্য করেন বারাসত থানার পুলিশ। সাধারণ মানুষ পুলিশি পদক্ষেপে খুশী, তাঁরা বলছেন মানুষের সচেতনতা মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আসা উচিত। তবে নাগরিকরা কিন্তু প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনের সার্বিক নজরদারিতে গলদ নিয়ে। সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না জানিয়ে তাঁদের প্রশ্ন হঠাৎ করে একদিনের জন্য পুলিশি তৎপরতা নাগরিক সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করে না। বারাসাত পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের শীর্ষ আধিকারিক সুনীল মুখার্জী যেখানে আক্রান্ত সেখানে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় বলে নাগরিক অভিমত। নাগরিকদের আরও অভিমত, নিজেদেরকে সবাই স্বতঃস্ফুর্তভাবে সচেতন না করলে বিপদ বাড়তেই থাকবে।নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে । তাতে কেউ বলপূর্বক কিছু করাতে পারবে না। সর্বস্তরে প্রতিনিয়ত এত সচেতনতার বার্তা দিয়েও সুফল যে কিছু হচ্ছে না তা রাস্তায় বেরোলেই চোখে পড়ছে বলে জানালেন এক গৃহশিক্ষিকা অস্মিতা দত্ত।পাশাপাশি তিনি আরও একটি অভিযোগ জানালেন যে, সোশ্যাল ডিসত্যান্সিং এর জন্য অটোতে দুজন করে প্যাসেঞ্জার তোলার কথা সেখানে প্রশাসন থেকে বলার পরেও বেশি ভাড়া নিয়েও দেখছি ৪ জন করে প্যাসেঞ্জার নিয়ে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাস্তায় চলা অসহায় মানুষের সেবা করে চলেছে অটো চালকেরা। লকডাউনের জেরে প্রত্যেক মানুষেরই আয় কমেছে তাবলে অসহায়তার সুযোগ নিয়ে অটো চালকেরা যা করছেন সেটা একেবারেই কাম্য নয়।তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে বারাসাতের পুলিশ প্রশাসনকে বলতে চাই দয়া করে এই ব্যাপারটার উপর একটু আলোকপাত করুন।