নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া : একহাতে এটিএমের কিপ্যাড ঢেকে তারপরেই দিতে হবে পিন। তারপর টাকা তুলতে হবে। এটিএম জালিয়াতির ঘটনা রুখতে এভাবেই হাওড়াবাসীকে সতর্ক করল হাওড়া সিটি পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত পুলিশের আবেদন ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্যে পিন দেওয়ার সময়ে অন্য হাত দিয়ে ঢেকে রাখুন যাতে কেউ দেখতে না পায়। এইভাবেই হাওড়ার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে পুলিশ। বুধবার সিটি পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের পরে আনলক-১ এর সময় থেকেই মানুষ বাইরে বেরতে শুরু করেন। সেই সময় থেকেই এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটতে থাকে। সেরকমই একটি ঘটনায় ইদ্রিস মোল্লার সাথে ঘটে অতি সম্প্রতি। জালিয়াতরা ওই ব্যাঙ্ক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০হাজার টাকা জালিয়াতি করে। সিটি পুলিশের সাইবার থানায় সেই ঘটনার অভিযোগ জানান প্রতারিত ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ পেয়েই তড়িঘড়ি পুলিশ ওই ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে। প্রতারিত ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন সূত্র ও সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতারিত ব্যাঙ্ক গ্রাহকের টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। এদিন সোস্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের প্রতারণা কিভাবে রোখা যাবে তা আরও একবার জানিয়েছে সিটি পুলিশ। এটিএম এর পিন কোড বা বিস্তারিত তথ্য কাউকেই জানানো যাবে না। যাচাই না করে যেকোনো ওয়েবসাইটেও ওইসব তথ্য দেওয়া উচিত নয়। এটিএমের পিন কোড বা পার্সোনাল আইডেন্টিটি নাম্বার লেখার সময়ে অন্য হাত দিয়ে কিপ্যাডটি আড়াল করার আবেদনও এদিন জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।