গত টি২০ বিশ্বকাপ আসরের রানার্স-আপ পাকিস্তানকে এ বার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। আমেরিকার কাছে সুপার ওভারে হারের বড় মাসুল দিতে হয়েছে বাবর আজমদের (Babar Azam)। হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর দলের ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ব্যাটারদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন তিনি। একই সঙ্গে বাবর জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিপর্যয়ের পর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, তা নেবে পাকিস্তন ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বাবর অবশ্য এখনই নেতৃত্বে ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন না।
ব্যাটারদের ব্যর্থতা মেনেও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের পর বাবরের বক্তব্য, ‘সব মিলিয়ে আমরা শেষটা ভাল করতে পেরেছি। তবে আমরা অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি। বিশেষ করে দ্রুত উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে। ব্যাটিং ভাল হয়নি আমাদের। টেলএন্ডারদের তাড়াতাড়ি নামতে হয়েছে। ওদের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। আমাদের বোলিং ভাল হলেও ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য কয়েকটা ম্যাচে প্রত্যাশিত ফলাফল হয়নি।’
এমন ফলাফলের পর আপনি কি নেতৃত্বে ইস্তফা দেবেন? বাবর বলেছেন, ‘অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে বলব, আগেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলাম (এক দিনের বিশ্বকাপের পর)। মনে হয়েছিল আমার আর অধিনায়ক থাকা উচিত নয়। তাই ইস্তফা দিয়েছিলাম। তখন নিজেই সবাইকে জানিয়েছিলাম। আবার আমাকে অধিনায়ক করা হয়েছে। এটা পিসিবির সিদ্ধান্ত। প্রথমে আমরা দেশে ফিরে এই ফল নিয়ে আলোচনা করব। পর্যালোচনা করব। নেতৃত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত পরে হবে। নেতৃত্ব ছাড়লে আবার প্রকাশ্যেই জানাব। যা হবে স্বচ্ছ ভাবেই হবে। এখনই এ নিয়ে কিছু ভাবিনি। ভাবছিও না। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিসিবি নেবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সমর্থক বা সাংবাদিকদের মতোই আমরাও অত্যন্ত হতাশ। প্রত্যাশা মতো ক্রিকেট আমরা খেলতে পারিনি। আমাদের দলে যে ধরনের ক্রিকেটারেরা আছে, সেই অনুযায়ী পারফরম্যান্স হয়নি আমাদের। এটা কোনও এক জনের ব্যর্থতা নয়। গোটা দলের ব্যর্থতা। বোলারদের তুলনায় ব্যাটারেরা ভুল বেশি করেছে। অনেক ক্ষেত্রে আমরা উইকেট ছুড়ে দিয়েছি।’
ব্যর্থতার কারণ হিসাবে বাবর প্রাথমিক ভাবে দু’টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। আমেরিকার পিচের সঙ্গে ব্যাটারদের মানিয়ে নিতে না পারা এবং চাপ সামলাতে না পারা। নেতৃত্বে ইস্তফা দেওয়ার থেকেও সমস্যাগুলির সমাধানকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।