বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারার পর পাকিস্তানের (BAN Vs PAK) ক্রিকেট দল গভীর সমস্যায় পড়েছে। প্রথম ম্যাচে বোলারদের খারাপ বোলিংয়ের জন্য সমালোচনা করা হয়েছিল, অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে দলের মাঝারি ব্যাটিং দেখা গিয়েছিল। এই প্রথমবার পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে পাকিস্তান দলে অনেক খেলোয়াড়ের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য, যারা খুব শীঘ্রই আউট হতে পারে।
১) বাবর আজমঃ পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক বাবর আজম খারাপ ফর্মের সঙ্গে লড়াই করছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (BAN Vs PAK) ২ ম্যাচের ৪টি ইনিংসে তিনি মাত্র ৬৪ রান করেন। এটিও একটি চমকপ্রদ সত্য যে বাবর গত ১৬ টেস্ট ইনিংসে একটি অর্ধ-শতরানও করতে পারেননি। তাঁর শেষ সেঞ্চুরি ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। খারাপ ফর্মের এই সময়টিকে পিছনে রাখতে, বাবর একটি বিরতি নিতে পারেন এবং আপাতত দলের বাইরে বসতে পারেন।
২) আবদুল্লাহ শফিকঃ ২০২১ সালে অভিষেকের পর থেকে আবদুল্লাহ শফিক টেস্ট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ ম্যাচে মাত্র ১০.৫০ গড়ে ৪২ রান করেছেন তিনি। তিনি তাঁর শেষ সাতটি টেস্ট ইনিংসে মাত্র ৪৬ রান করেছেন এবং এই সময়ের মধ্যে তিনবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তাদের খারাপ ফর্ম পাকিস্তানকে (BAN Vs PAK) ম্যাচে ভালো শুরু করতে বাধা দিচ্ছে।
৩) মহম্মদ আলিঃ একজন ডানহাতি ফাস্ট বোলার যিনি ২০২২ সালে পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি এখন পর্যন্ত ৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, কিন্তু মাত্র ৬টি উইকেট পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (BAN Vs PAK) দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন, যেখানে তিনি মাত্র ২ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। এই পরিসংখ্যানগুলি প্রমাণ করছে যে আলি এখনও পর্যন্ত যে সুযোগগুলি পেয়েছে তা কাজে লাগাতে পারেনি, যার জন্য দল থেকে তার ছুটি নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪) শান মাসুদঃ এমনকি পাকিস্তান অধিনায়কের টেস্ট দলে জায়গা টিকবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৫৭ এবং পুরো সিরিজে তিনি মাত্র ১০৫ রান করেছিলেন। শুধু তাঁর ব্যাটিংই নয়, পাকিস্তানের (BAN Vs PAK) পরাজয়ের জন্য তাঁর অধিনায়কত্বকেও দায়ী করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অধিনায়কত্ব ছাড়াও শনকে দলের প্লেয়িং ইলেভেন থেকেও হাত হারাতে হতে পারে।
৫) আবরার আহমেদঃ ডানহাতি লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য প্লেয়িং ইলেভেনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একদিকে বাংলাদেশের (BAN Vs PAK) হয়ে সাকিব আল হাসান ও মেহদি হাসান স্পিন বোলিংয়ে কার্যকর ছিলেন, অন্যদিকে আবরার আহমেদ ততটা কার্যকর ছিলেন না। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি একটি উইকেট নেন। তিনি এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ৩৯ উইকেট নিয়েছেন, তবে শেষ ২ টি সিরিজ তার জন্য খুব খারাপ হয়েছে।