নিউজ ডেস্ক, কলকাতাঃ আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১-এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আর ওই নির্বাচনে নয়া রাজনৈতিক দল গড়ে লড়াই করতে চলেছেন ভাইজান।দলিত, আদিবাসী এবং মুসলিমদের নিয়ে সংগঠন গড়ছেন বলে তাঁর দাবী । শুধু তাই নয়, চলতি বছরেই নাকি সেই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
কে সেই ভাইজান ?
না বলিউডের কোনও চিত্ররারকা নয়, তিনি হলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। এই নয়া রাজনৈতিক দল নিয়ে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বাঙালিদের সচেতন থাকার বার্তা দিল বাংলাপক্ষ।
ভারতের জাতীয়রাবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে কৌশিক মাইতি বলেছেন, “বাংলায় একদল হিন্দু-হিন্দু ভাই ভাই করে। আর আরেক দল মুসলমান-মুসলমান ভাই ভাই করছে। এভাবে বহিরাগত শক্তিকে এগিয়ে আনতে সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছে। বাংলাপক্ষ এদের সর্বাত্মকভাবে বিরোধিতা করছে।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমরা চাই বাঙালির স্বার্থে বাঙালিকে কোনও ভাবেই যেন ভাগ করা না হয়।”
আব্বাস সিদ্দিকীর দল নির্বাচনে লড়াই করলে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। যার ফলে পদ্ম শিবির শক্তি পেয়ে লাভবান হবে বলেই করছেন কৌশিক মাইতি। যদিও বিজেপির নাম উল্লেখ না করে ‘বহিরাগত’ বলেছেন তিনি। এই প্রকারের রাজনৈতিক দলের থেকে বাঙালি দূরে থাকবে বলেই দাবি করেছেন কৌশিক। তাঁর কথায়, “যারা বহিরাগত শক্তিকে সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা করছে, বাঙালি তাঁদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবে এবং সচেতন থাকবে।”
গত রবিবার প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে নয়া রাজনৈতিক দল গড়ার এবং নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, “আগামী নির্বাচনে রাজ্যে যদি দল ক্ষমতায় আসে তবে দলিত অথবা আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে এবং মুসলিম সম্প্রদায় থেকেই যোগ্যতম ব্যক্তিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হবে।”
এই প্রসঙ্গে বাংলাপক্ষের নেতা কৌশিক মাইতি বলেছেন, “আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও একই কথা বলেন। কিন্তু তাঁর দল কখনই দলিত বা আদিবাসীদের দল নয়। সেটা সম্পূর্ণভাবে মুসলিমদের সংগঠন। সেটা তাঁর দলের সভা বা মিছিল অংস নেওয়া লোকেদের দেখলেই বোঝা যায়।” একই সঙ্গে কৌশিক আরও বলেছেন, “আব্বাস সিদ্দিকীর মিটিং বা মিছিলেও কারা যায় সেটা সবাই দেখতে পায়। তাঁর সভায় উপস্থিতির এক শতাংশও দলিত বা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ নয়। আব্বাস সিদ্দিকীর লোক কারা সেটাও সবাই জানে।”
দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যের নির্বাচনে লড়ার কথা বলছেন ভাইজান আব্বাস সিদ্দিকী। রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। তবে সেই জোটের ক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছেন আব্বাস। তিনি জানিয়েছিলেন যে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৪০ আসনে প্রার্থী দেবে তাঁর দল। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারবে না। এই শর্ত মানলে রাজ্যের বাকি ২৫৪ তৃণমূলের হয়ে কাজ করবে তাঁর অনুগামীরা। অন্যথায় রাজ্যের সকল আসনেই প্রার্থী দেবেন আব্বাস ভাইজান। যদিও তা আর হচ্ছে না। পৃথক দল চালু করছেন তিনি।