বাংলাদেশের সরকারের পতন (Bangladesh Crisis) সম্পর্কে গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে একটি বড় তথ্য সামনে আসছে। এর পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের আইএসআই। গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে যে বাংলাদেশের পরিস্থিতির পিছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হাত রয়েছে। পাকিস্তান ছাত্র শিবির নামে একটি সংগঠনকে হিংসা উস্কে (Bangladesh Crisis) দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেছে। সংগঠনটি বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জামাত-ই-ইসলামীর অংশ। এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সমর্থন রয়েছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনা জামায়াতে ইসলামী, ছাত্র ইউনিয়ন এবং অন্যান্য সংগঠন নিষিদ্ধ করেছেন বলে জানা গেছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা রাস্তায় নেমে আসেন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বি এন পি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান খালেদা জিয়ার ছেলে তারিক রহমানের যোগসাজশের প্রমাণও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে মিলে লন্ডনে বসে এই অভিযানের রূপরেখা বানানো হয়েছিল। পরিকল্পনার নীলনকশা প্রস্তুত করার পর বাংলাদেশে তা বাস্তবায়িত হয়। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সৌদি আরবে তারিক রহমান এবং আইএসআই কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে বিক্ষোভকে উস্কে (Bangladesh Crisis) দিতে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ৫০০টিরও বেশি পোস্ট করেছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের হ্যান্ডেলও সামিল রয়েছে। নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনও পাকিস্তানের তথাকথিত আইএসআই-এর সমর্থন পাচ্ছে। সংগঠনটির কাজ ছিল বাংলাদেশে হিংসা উস্কে দেওয়া এবং ছাত্র বিক্ষোভকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করা।
একই সময়ে, আমেরিকাও এই হিংসা (Bangladesh Crisis) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল। ১৪ই জুলাই মার্কিন দূতাবাস ২ জন ছাত্রের মৃত্যুর মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দেয়, পরে ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই খবর বিক্ষোভকে আরও উস্কে দিয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস জামাতের নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। আমেরিকার এই সমস্ত কার্যকলাপকেও এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।