বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস দেশে সাধারণ নির্বাচনের (Bangladesh Election) বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
ইউনূস সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার ভাষণে নির্বাচনের (Bangladesh Election) সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। ইউনূসের কথায়, “আমি সর্বদাই জোর দিয়ে এসেছি যে, প্রয়োজনীয় নির্বাচনী সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পরই নির্বাচন হওয়া উচিত।”
ইউনূস আরও বলেছেন যে রাজনৈতিক দলগুলি যদি সঠিক ভোটার তালিকা এবং অন্যান্য মৌলিক সংস্কারের সাথে একমত হয় তবে ২০২৫ সালের নভেম্বরের শেষের মধ্যে নির্বাচন (Bangladesh Election) অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, সংস্কারের সম্পূর্ণ তালিকা বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিত হতে পারে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের হিংসাত্মক বিক্ষোভের ফলে ৫ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পর, শেখ হাসিনাকে ভারতের আগরতলায় এবং তারপর দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিডেন এয়ারবেসে নিয়ে যাওয়া হয়। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে একটি অজ্ঞাত স্থানে বসবাস করছেন। তাঁর পদত্যাগের পর ৮ই আগস্ট মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত করা হয়।
মহম্মদ ইউনূস তাঁর ভাষণে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনী (Bangladesh Election) সংস্কার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, এই সংস্কারগুলি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করে তুলবে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনের ঘোষণা রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, নির্বাচনী সংস্কার এবং সেগুলির সময়সীমা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।