আবু আলী, ঢাকা, ২৮ মার্চ: বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে শুরু হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস।’ আগামী ১ এপ্রিল ভার্চুয়ালি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ গেমস চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
দেশব্যাপী সাতটি জেলার ২৯টি ভেন্যুর এই ক্রীড়াযজ্ঞে ৩১ ডিসিপ্লিনের ৫৩০০ ক্রীড়াবিদ ১২৭১টি পদকের জন্য লড়বেন। এর মধ্যে সোনা ও রৌপ্য পদক রয়েছে ৩৭৮টি। গেমসের মাঠের আয়োজন নিয়ে আয়োজক বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) রবিবার (২৮ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে গেমস শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
গেমসটি গত বছরের এপ্রিলে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা হয়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছে বাংলাদেশের খেলাধুলা নিয়ে নানান দিক।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের মশাল বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গীপাড়ায় তার সমাধিস্থলে প্রজ্জ্বলন করবেন বিওএ’র সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এরপর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাঠে ক্রীড়াবিদদের পক্ষ হতে শপথ পাঠ করবেন দেশসেরা আর্চার রোমান সানা।
গেমস আয়োজনে বাজেট ধরা হয়েছিল ৩৮ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। যদিও সরকার থেকে ১৫ কোটি টাকা পাচ্ছে বিওএ। তারপরেও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস সফলভাবে আয়োজিত হবে বলে বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেছেন, ‘আমাদের সবধরনের আয়োজন সম্পন্ন। দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস হবে। আশা করছি সফলভাবেই সবকিছু হবে।
আমরা সকল ক্রীড়াবিদদের করোনা পরীক্ষা করছি। যারা নেগেটিভ হবে, তারাই খেলবে। এছাড়া অন্য সবধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে, যেন গেমস ঠিকভাবে হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই নারী ক্রিকেট দলের খেলা শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচি থাকায় নারীদের ক্রিকেট আগেভাগেই শুরু ও শেষ হয়।