ভারত বিরোধিতায় সরব হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী ইউনুস সরকার। শুধু তাই নয়, ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংগঠন। খিদে নিয়ে থাকবো, কিন্তু ভারতের পণ্য ব্যবহার করবো না বলেও সরব হয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh) । এই পরিস্থিতি (Bangladesh) বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের সুর ক্রমেই তীব্রতা হারাচ্ছে। একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আলু, পেয়াঁজ এমনকী চালের জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। বাংলাদেশের (Bangladesh) একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ভারত থেকে একটি চাল বোঝাই জাহাজ চট্টগ্রামের বন্দরে যাবে। সেই জাহাজে ২৪ হাজার ৬৯০ টন চাল আছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় জাহাজটির নাম টানিস ড্রিম। ভারতের কাকিনাড়া বন্দর থেকে সেটি রওনা হয় বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের খাদ্য দফতর এর সত্যতা স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশের খাদ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি উদ্যোগে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রে চাল কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই আবহে ভারত থেকে চালের কনসাইনমেন্ট গেল বাংলাদেশে। আগামী দিনে চট্টগ্রামে আরও চাল পৌঁছানোর কথা বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের পাশাপাশি বিএনপি নেতারা বার বার ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবি জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ভারতীয় পণ্যের বিরোধিতা করে এক বিএনপি নেতা তাঁর স্ত্রীর কেনা শাড়ি প্রকাশ্যে পুড়িয়েছিলেন। অন্য এক বিএনপি নেতা তাঁর স্ত্রীর শাড়ি পরে ভারত থেকে আনা বেড কভার পুড়িয়েছিলেন। সেই ভারত বিদ্বেষী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে যথেষ্ঠ হাততালি পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে শুরু করেছে। ভারতের বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি কৃষিপণ্যে এত কিছুর পরেও বাংলাদেশ যে সম্পূর্ণ নির্ভরশীল তা ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।
শুধু চাল নয়, বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে ভারত আলু ও পেঁয়াজ রফতানি করেছে প্রচুর পরিমানে। ভারত বাংলাদেশের অনুরোধেই রফতানি করেছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে সেই দেশে গিয়েছিল ১৮০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ। জানা গিয়েছে, বাংলাবান্ধা বন্দরটি দিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে মোট ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। তার আগে নভেম্বর থেকে বার বার ভারতে থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ গিয়েছে।