আবু আলী, ঢাকা: একটি সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করবেন।
সোমবার (৮ মার্চ) ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ সেতু উদ্বোধন করা হবে।
ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমের ডৌলবাড়ি থেকে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পর্যন্ত বিস্তৃত এ সেতু। এটি চালু হলে ভবিষ্যতে ত্রিপুরার মধ্যে দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ লক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশ সেতু নির্মাণে সম্মত হয়। সেতু নির্মাণের পুরো খরচ বহন করেছে ভারত। ১৩৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে ছিল ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড।
১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রামগড়ের সঙ্গে ভারতের সাব্রুমের সংযোগ স্থাপন করবে। সাব্রুম থেকে চট্টগ্রাম বন্দর মাত্র ৭২ কিলোমিটার দূরে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগরতলার দূরত্ব ১০৪ কিলোমিটার।
এদিকে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগকারী ‘মৈত্রী সেতু’র উদ্বোধন সর্ম্পকে রবিবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য এবং দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণকারী মানুষের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে এই সেতুটির মাধ্যমে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এটি উদ্বোধনের ফলে ত্রিপুরা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের জন্য ‘গেটওয়ে অব নর্থ-ইস্ট’ হয়ে উঠবে।
মৈত্রী সেতুর পাশাপাশি আগামীকাল নরেন্দ্র মোদি সাব্রুমে একটি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এটি দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রীদের চলাচল সহজ, উত্তর-পূর্ব রাজ্যের পণ্যগুলোর জন্য নতুন বাজারের সুযোগ তৈরি এবং ভারত ও বাংলাদেশের যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সহায়তা করবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।