বাংলাদেশে (Bangladesh) অশান্তির আবহাওয়া। বার বার হিন্দুদের ওপর আক্রমণের খবরে সংবাদের শিরোনাম জায়গা করে নিয়েছে (Bangladesh) । শুধু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নয়, জোর করে সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরণ প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ উঠছে। বাংলাদেশ (Bangladesh) বার বার ভারত বিরোধী স্লোগানে সরব হয়েছে। এই পরিস্থিতি ঢাকায় (Bangladesh) বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ সচিব। সেখান থেকেই তিনি হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের (Bangladesh) তীব্র নিন্দা করেন। দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরানোর বাতাবরণের সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে পৌঁছালো মিতালী এক্লপ্রেস। জুলাই মাসে অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। তখন থেকেই মিতালি এক্সপ্রেস বাংলাদেশে আটকে ছিল।
এই মিতালি এক্সপ্রেস ১৭ জুলাই শেষবার বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন ছুঁয়ে হলদিবাড়ি হয়ে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে লালমণিহাট সাক্ষী রেখে ঢাকা পৌঁছেছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশেই ছিল মিতালি এক্সপ্রেস। তারপর থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে থাকে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেয়। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ থেকে হলদিবাড়ি স্টেশনে ফিরিয়ে আনা হয় মিতালি এক্সপ্রেসকে। ভারত ও বাংলাদেশের ট্রেন যোগাযোগ ১৯ জুলাই থেকে ৯ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল। অন্যদিকে নতুন করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাস চলাচল চালু হয়েছে। কলকাতা বা নয়াদিল্লির সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ আছে ঢাকা বিমানবন্দরের। দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের ইউনুস সরকার ভারতে ইলিশ পাঠিয়েছিল। এবার রেল যোগাযোগ চালু হল।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রচণ্ড অস্থির। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে, সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে আদালতে কোনও উকিল লড়াই করতে কার্যত ভয় পাচ্ছে।