বাংলাদেশের (Bangladesh Politics) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিসা দিয়েছে ভারত। তিনি ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ভারতে বসবাস করছেন। এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন তাদের ঢাকায় ফিরে আসার দাবি তীব্র হয়েছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভের মধ্যে ৭৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং ভারতে আশ্রয় নেন এবং তারপর থেকে দিল্লির একটি নিরাপদ স্থানে বসবাস করছেন।
ভারত সম্প্রতি শেখ হাসিনাকে ভারতে থাকার সুবিধার্থে তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সম্মতিতে বিদেশ মন্ত্রক শেখ হাসিনাকে ভিসা দিয়েছে। তবে আধিকারিকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভারতে শরণার্থীদের বিষয়ে কোনও বিশেষ আইন না থাকায় ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়নি।
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের (Bangladesh Politics) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৩শে ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে একটি নোট পাঠিয়েছিল। নোটটিতে শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ভারত থেকে তার প্রত্যাবর্তনের দাবি জানিয়েছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সম্প্রতি শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh Politics)। এই ব্যক্তিরা জুলাই মাসে বিক্ষোভ চলাকালীন নিখোঁজ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও অন্যান্য ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, যার ফলে শেখ হাসিনা ও আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ফেব্রুয়ারিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ কমিশন
বাংলাদেশের (Bangladesh Politics) জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান সম্প্রতি বলেছেন, কমিশনের সদস্যরা ভারতে এসে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলস কর্তৃক ৭৪ জনকে হত্যার তদন্তের অংশ হিসেবে এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদিও সরকারের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
আগস্টে শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর মা ভারতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন বা তাঁর ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে গুজব অস্বীকার করেছিলেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও এই বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছে, ভবিষ্যতে তিনি কী পদক্ষেপ নেবেন তা শেখ হাসিনাকেই ঠিক করতে হবে। মন্ত্রক বলেছিল যে এই বিষয়ে ভারতের কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেই এবং এটি পুরোপুরি শেখ হাসিনা ‘র ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে।