বাগদা যেন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের (Bangladeshi) সেভ হাউসে পরিণত হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে (Bangladeshi) ফেরার সময় দুই অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাগদা পুলিশ দুই মহিলা অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi) গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা (Bangladeshi) কয়েক মাস আগেই ভারতে প্রবেশ করেছিল। ভিনরাজ্যে তারা পরিচারিকার (Bangladeshi) কাজ করছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার বাগদা থানা এলাকা থেকে আজমিরা খাতুন ও শিরিনা খাতুন নামে ২ মহিলাকে বাংলাদেশ সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সীমান্ত পার হওয়ার আগেই দুই বাংলাদেশি মহিলা অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, কয়েক মাস আগে ওই দুই বাংলাদেশি মহিলা সীমান্ত পেরিয়ে বাগদা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। তারপর ভিন রাজ্যে গিয়ে পরিচারিকার কাজ করেন। সম্প্রতি ওই দুই মহিলা দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। তাই ফের বাগদা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই চেষ্টাও করছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, সোমবারও বাগদা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হয়েছিল ২ বাংলাদেশি। দুলাল শেখ ও পারুল বেগম নামের দুই বাংলাদেশী বাগদা সীমান্ত দিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। ওই দুই বাংলাদেশি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাগদা সীমান্তকেই অনুপ্রবেশকারীরা কেন বেছে নিয়েছেন, সেই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে? বাগদা ব্লকের তিন দিকে বাংলাদেশ ও এক দিকে নদিয়া জেলা। এছাড়াও ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের ওপর দিয়ে গিয়েছে এই সীমান্ত। এমনকী বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতে এমনও বাড়ি রয়েছে, যাদের শোওয়ার ঘর ভারতে আর রান্নাঘর বাংলাদেশে। সীমান্ত এলাকায় ঘনবসতি রয়েছে দুই দেশের। তাই সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারী সহজেই মিশে যেতে পারেন। প্রথমে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে এসে অনুপ্রবেশকারীরা কিছুদিন থাকেন। তারপরেই সীমান্ত পেরিয়ে এপাশের গ্রামে চলে আসেন।
অন্যদিকে, সারা ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে বাংলা যোগ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।