নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ দক্ষিণ কলকাতার মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে কলেজের পড়ুয়ারা নিজেদের দাবি পূরণের জন্য বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছে। হিন্দিতে লেখা পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ডে বৈশাখীদেবীকে উৎখাত করার ডাক দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ওই বাঙালি অধ্যাপিকার পাশে থাকার বার্তা দিল বাংলাপক্ষ।
ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।যদিও মাস খানেক আগেই ওই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তবুও বিক্ষোভকারীরা তাঁকেই নিশানা করছেন। এর পিছনে রাজনৈতিক প্রতি হিংসা রয়েছে বলে দাবি করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন যে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওই কলেজের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকে নিশানা করে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের পিছনে ফিরহাদ হাকিম রয়েছেন বলে দাবি করেছেন বৈশাখীদেবী।
গত বছর লোকসভা ভোটের পরে বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।আর সেই কারণেই তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এর পিছনে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি রয়েছে বলেও দাবি করেছেন বৈশাখী। তাঁর এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাঙালি অধ্যাপিকা বৈশাখীদেবীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ভারতের বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলাপক্ষ। হিন্দি ভাষী ব্যক্তিদের হিন্দি প্ল্যাকার্ড বা পোস্টারে বাঙালি অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলাপক্ষ।
ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে কৌশিক মাইতি বলেছেন, “বাংলায় থেকে বাঙালি অধ্যাপিকাকে কদর্য ভাষায় আক্রমণের সাহস হয় কী করে? আর যখন উনি অধ্যক্ষার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে। বাংলাপক্ষ এই ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। অবিলম্বে প্রশাসনের উচিত এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।”
রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসেবে বাংলাপক্ষ বিজেপির বিরোধী। উত্তর ভারত তথা হিন্দি বলয়ের দল হিসেবে পরিচিত বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বদা সরব হয়ে থাকে বাংলাপক্ষ। সেই দলেরই নেত্রী বৈশাখীর পাশে থাকার বিষয়ে কৌশিক মাইতি বলেছেন, “বিজেপি বাংলার শত্রু। বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরিচয়ের আগে তিনি একজন বাঙালি নারী। বাংলাপক্ষ সবসময় বাঙালির পাশে থাকে। বাংলার মানুষের উন্নতির কথা ভাবে।”