মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে (Banshdroni Accident)স্কুলছাত্রকে পিষে মারল পে লোডার। ঘটনার পরেই বাঁশদ্রোনী (Banshdroni Accident) এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা (Banshdroni Accident) রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনার প্রতিবাদে ঘাতক পে লোডারে ভাঙচুর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে খারাপ রাস্তা (Banshdroni Accident) । বার বার বলেও রাস্তা ঠিক করা হয়নি। স্থানীয়রা তৃণমূল কাউন্সিলরের (Banshdroni Accident) বিরুদ্ধে নিজের রাগ উগড়ে দেন। এরপরেই সামাল দিতে পুলিশ বাহিনী আসেন।
পুলিশকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপরেই পাটুলি থানার ওসিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। পাটুলি থানার ওসিকে ঘিরে যখন স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন, সেই সময় পুলিশ সেই বিক্ষোভ প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। কিছুদিন আগেই পাটুলি থানার ওসি বিতর্কিত রাজনৈতিক মন্তব্য করেন। তারপরেই সাধারণ মানুষ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।
এর মাঝেই হঠাৎ করে একদল দুষ্কৃতী সেই বিক্ষোভের মধ্যে ঢুকে পড়েন। স্থানীয় বিক্ষোভকারীদের মারধর করা হয় পুলিশের সামনে। সেই সময় পুলিশ কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করে। দুষ্কৃতীরা কখনও নিজেদের পুলিশের পরিচয় দেয়। তো কখনও নিজেদের বিজেপি কর্মী বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কাউন্সিলরের লোক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোরে ওই ছাত্র মারা গিয়েছে। কিন্তু এত বেলা হল, কাউন্সিলর এখনও এখানে আসার প্রয়োজন মনে করলেন না।
রাস্তাঘাট খারাপ আছে, সেটা তো অস্বীকার করার নয়। রাস্তার কাজ হচ্ছিল। পুজোর আগে আমরা রাবিশ দিয়ে কাজ করছি। কাল রাতেই রাবিশ ফেলা হয়েছিল। রাস্তার মাঝে ফেলেছিল। জেসিবি সেই সময় রাবিশ সরানোর জন্য এসেছিল। সেই সময় জেসিবি পিছন দিকে সরতেই ছাত্রকে আঘাত করে। জেসিবির ড্রাইভার পিছন দিকে দেখতে পারে না। পিছনের ছাত্রের স্পট ডেড হয়ে যায়। জানা যায়, ওই নবম শ্রেনির ছাত্র টিউশনের জন্য যাচ্ছিলেন। পুজোর আগে মহালয়ার দিন এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষরা।