পল্লব হাজরা , বরানগর: মানব জীবনে ঘটে চলা ঘটনাগুলির শৈল্পিক অভিব্যক্তি প্রকাশ পায় নাটকের মাধ্যমে। নাটকে নাট্যকার মানুষের হাসি কান্না, প্রেম বিরহ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সামাজিক প্রেক্ষাপট শৈল্পিক ভঙ্গিমায় ফুটিয়ে তোলেন। গ্রীসের এথেন্স শহর নাটকের উৎপত্তিস্থল হলেও , কালের পরিবর্তনে তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব জুড়ে। শতাব্দী ধরে চলে আসা নাটক ডিজিটাল(Digital) সময় দাঁড়িয়ে কিছুটা ভাটা পড়লেও নাট্যপ্রেমী মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
তাই নাট্যপ্রেমী ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখে বরাহনগর পুরসভার উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় শুভ উদ্বোধন হল বরাহনগর নাট্যোৎসব ২০২৩। যা এবছর নবম তম বর্ষে পদার্পণ করল। ৮ই মে থেকে ১২ই মে প্রতিদিন বিকেল ৫টায় বরাহনগর পৌরসভার রবীন্দ্র ভবন প্রেক্ষাগৃহে নাটক মঞ্চস্থ হবে।
এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে নাট্যোৎসবের শুভ সূচনা করেন দমদম লোকসভার সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়। উপস্থিত ছিলেন বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তাপস রায়, বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, উপপুরপ্রধান দিলীপ নারায়ণ বসু সহ অন্যান পুরপ্রতিনিধি।
অধ্যাপক সৌগত রায় জানান, বরাহনগরে কিছু দিন আগে মিটেছে বই মেলা, এরপর নাট্যোৎসব যার ফলে তিনি বেশ আনন্দিত। এই উৎসব সম্পূর্ণ চেয়ারপার্সন ও নির্বাচিত পৌর প্রতিনিধিদের প্রচেষ্টায় হচ্ছে। তাদের সকলকে অভিনন্দন। ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব বলতেন থিয়েটারের মাধ্যমে লোকশিক্ষা হবে। তাই এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে লোকশিক্ষা হবে এমনটাই আশাবাদী সাংসদ।
বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, নাটক এমন একটা বিষয় যেখানে সমাজের একটি মুখ উঠে আসে। তা হতে পারে সামাজিক ব্যাধি কিংবা সামাজিক উৎসব। সিনেমায় রুপালি পর্দা থেকে নাটক প্রেক্ষাগৃহে বসে দেখা এক অন্যরকম অনুভূতি। পাশাপাশি অপর্ণা মৌলিক বরাহনগর নাট্যোৎসবে প্রত্যেক মানুষকে আসার জন্য অনুরোধ জানান ।
সোমবার সন্ধ্যায় চাকদহ নাট্যজন প্রযোজিত গিরিশচন্দ্র ঘোষ অনুপ্রাণিত নাটক বিল্বমঙ্গলকাব্য মঞ্চস্থ হয়। মঞ্চে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায় দেবশঙ্কর হালদার কে। নাটকের শুরুতে দর্শক সংখ্যা কম থাকলেও সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে দর্শকদের ভিড়। প্রবেশ অবাধ পরপর পাঁচ দিন হতে থাকা নাটকে দর্শকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।