ভরদুপুরে মহিলার গলার সোনার চেন ধরে টানাটানি ছিনতাইবাজদের (Baranagar Gold Snatching)। আবাসনের ভিতরেই বাইক নিয়ে ছিনতাইবাজের হামলা।
বরানগর: প্রতিদিন দুপুরে অফিস থেকে বাড়ি ফেরেন বরানগর ১৫ নং ওয়ার্ড বনহুগলী বনরিনি আবাসনের বাসিন্দা সুপর্ণা ভট্টাচার্য। তবে শুক্রবার দুপুর যে বিভীষিকাময় হয়ে উঠবে তা হয়তো কল্পনা করেনি তিনি। অভিযোগ দুপুর ২টো ৩০মিনিট বাড়ির কাছে আসতে মহিলাকে ঘিরে ধরে বাইকে থাকা দুই দুষ্কৃতী। আবাসনের মধ্যেই ছিনতাইবাজদের সাথে চলে মহিলার খন্ডযুদ্ধ। গলার সোনার অলংকার ছিনিয়ে নিতে গেলে বাঁধা দেন সুপর্ণা দেবী। দুষ্কৃতিদের ধাক্কাধাক্কিতে ছিটকে পড়েন মহিলা। হাত পায়ে পান গুরুতর চোট। ঘটনা আবাসিকদের চোখে পড়তেই ছুটে আসে প্রতিবেশী। পরিস্থিতি বেকায়দা দেখে খালি হাতে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন বাইকে থাকা দুই দুষ্কৃতী।
ঘটনায় আতঙ্কিত সুপর্ণা ভট্টাচার্য বলেন, “অফিস থেকে দুপুরে আবাসনে আসতে বাইকে দুই দুষ্কৃতী গলার সোনার চেন ছিনতাই কারার চেষ্টা করে। প্রথমে জামার কলার ধরে বাঁধা দিলে কিছুটা এগিয়ে যায় । ফের চড়াও হয় আমার উপর। ধস্তাধস্তিতে হাতের আঙুল, কোমর সহ হাঁটুতে চোট পেয়েছি। ভর দুপুরে দুষ্কৃতী হামলায় যথেষ্ট আতঙ্ক। তবে পরবর্তী সময় কি হবে তা ভেবে আরও বেশি আতঙ্কিত।”
ঘটনার কথা বরানগর থানায় জানান হলে পুলিশ পরিবারকে ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে আবাসনের সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও তা ছিল বিকল। যার জেরে পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ অভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া অনেকটাই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন আবাসিকরা। দিনের আলোতে কিভাবে এই ঘটনা জনবহুল অঞ্চলে হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন আবাসিকরা। অপর দিকে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসছে।