দেশের অন্যতম তীর্থস্থান ও মন্দিরগুলিতে ঘরে বসে পূজো দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার নামে পোর্টাল খুলে তোলাবাজি শুরু করে এক সংস্থা। মন্দিরের মধ্যে তালিকায় নাম ছিল নৈহাটি বড়মার (Baromaa) মন্দির। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মন্দির কমিটির ফাঁদে পা দিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল হুগলির রিষড়ার এলাকার এক পৌঢ়। পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতের নাম সুরজিৎ কুন্ডু। শনিবার সকালে তাকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ জানায়, দেশের অন্যতম মন্দির গুলিতে পুজো দিয়ে দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে বসতো সংস্থাটি। সংস্থার বিজ্ঞাপনে ছিল বড়মা (Baromaa) মন্দিরের বিজ্ঞাপন। পুজোর পাশাপাশি অনলাইনে এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিলে ঘরে পৌঁছে যাবে শুকনো প্রসাদ।
বিজ্ঞাপন দেখে মন্দির কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কলম্বিয়ার এক প্রবাসী। ঘটনার খবর পেতে নড়ে চড়ে বসে মন্দির কমিটি। ভক্ত সেজে পুজো দেওয়ার জন্য এক হাজার টাকা পাঠান মন্দিরের সদস্য অয়ন সাহা। ফোনে সুরজিৎ এর কথোপকথন রেকর্ড করেন তিনি। এরপর মন্দিরের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় নৈহাটি থানায়। ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে রিষড়া থেকে গ্রেপ্তার হন সুরজিৎ কুন্ডু।
ধৃত সুরজিৎ এর পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িত এক মহিলা। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মিলেছে একাধিক ব্যাংক একাউন্টের হদিশ। হয়েছে বিপুল টাকার লেনদেন। চক্রের সাথে আর কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে নৈহাটি থানার পুলিশ। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি ঘটনার সাথে আর কারা কারা জড়িত তা চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নিক পুলিশ।