নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্টের ছাড়পত্র দেওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদনকারীর গতিবিধি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে যাতে কোনও আবেদনকারী ভুল ভাবে ব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।’ সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, এটা কোনও নতুন বা চরম পদক্ষেপ নয়। বরং পাসপোর্ট আইনেই এই ‘ক্লজ’ রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘দেশদ্রোহী কাজকর্মে মদত দেয়, এমন কাউকে পাসপোর্ট দেওয়া যাবে না, সে কথা আইনেই আছে। আমি কেবল সেটা কার্যকর করতে বলেছি।
তিনি আরও জানান, সংবিধানে যা কিছু দেশ-বিরোধী, একজন পুলিস অফিসার হিসাবে আমি তা রুখতে বদ্ধপরিকর।’ গত ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্র্যাক্টর র্যালিকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা তৈরি হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাতে ‘ইন্ধন’ জোগানোই যে এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে, সে কথা মেনে নেন ডিজিপি।
এতদিন কোনও আভেদনকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর রয়েছে কি না, সেটাই দেখা হতো। তবে সম্প্রতি এক বৈঠকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির বিষয়টি জোরালো ভাবে উঠে আসে। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয় বলে খবর।