খবরএইসময়, নিউজ ডেস্কঃ গত ছ’বছর ধরে কোনও সুরক্ষাবিধি না মেনেই বন্দরে ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত রাখা হয়েছিল যা একেবারেই ‘গ্রহণযোগ্য’ নয়। মঙ্গলবার বেইরুটে যে জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল, তার প্রকৃত কারণ বোঝা না গেলেও প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন এমনটাই মনে করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তা লেবাননের প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট না করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার দাবি করেন, আদতে ‘ভয়ঙ্কর হামলা’ চালানো হয়েছিল। খুব সম্ভবত বোমার ফলে সেই বিস্ফোরণ হয়েছিল। এমনটাই নাকি ‘মনে করছেন’ মার্কিন সেনা আধিকারিকরা।
হোয়াইট হাউসের দৈনন্দিন সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘মনে হতে পারে যে এটা বিস্ফোরণের উপর ভিত্তি করে হয়েছে। আমি আমাদের কয়েকজন মহান জেনারেলের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তাঁরা সেটাই মনে করছেন। সেটা উৎপাদন জাতীয় বিস্ফোরণ নয়। তাঁরা মনে করছেন, এটা একটা হামলা। সেটা কোনও ধরনের বোমা। হ্যাঁ।’
যদিও সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ট্রাম্পের ধারণার উলটো মত পোষণ করেছেন দুই মার্কিন আধিকারিক। নাম গোপন রাখার শর্তে তাঁরা সে কথা জানিয়েছেন। লেবানন সরকারের তরফে বিস্ফোরণের কারণ অবশ্য এখনও কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে, বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৭৮। আহতের সংখ্যা ৪,০০০ ছুঁইছুঁই। বেইরুটের হাসপাতাল ভরতি হয়ে যাওয়ায় আহতদের রাজধানীর বাইরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রয়টার্স জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ১৬০ কিলোমিটার দূরে সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। বেইরুটের এক ডিজাইনার হুডা বারৌদি বলেন, ‘বিস্ফোরণে আমি কয়েক মিটার উড়ে যাই। আমি হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছিলাম এবং সারাদেহে রক্ত লেগেছিল। ১৯৮৩ সালে মার্কিন দূতাবাসে বিস্ফোরণের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে সেটি।’