ফের রাজ্য পুলিশের (Bengal Police) বড় রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য পুলিশের (Bengal Police)চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোয়েন্দা প্রধান রাজাশেখরনকে সরানো হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ(Bengal Police) পদে। রাজ্য পুলিশের (Bengal Police) ট্রেনিংয়ে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই ছিলেন (Bengal Police) দময়ন্তী সেন। তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে এডিজি আইজি পলিসি মেকিং পদে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাগৃহে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের ওপর তাঁর ক্ষোভ উগড়ে দেন। রাজ্যের ডিজির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমি সিআইডি রদবদল করব। পুরোটাই। আর যাঁর যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, অভিযোগ পেলে ক্রস চেক করো। কেউ কেউ মিথ্যা কথা বলেও অভিযোগ করে। অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করো। কেউ তাতে বাধা দেবে না। আর কেউ বাধা দিলে আমি শুনবও না।” মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যের পরেই এডিজি ওয়ান রাজশেখরণকে পুলিশ ট্রেনিংয়ে পাঠিয়ে দেন। দময়ন্তী সেনকে এডিজি আইজি পলিসি মেকিং পদে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মানে এবার থেকে রাজ্য পুলিশের নীতি নির্ধারকের ভূমিকায় দময়ন্তী সেনকে দেখা যাবে। ডিজি আইজি ইবি থেকে রাজীব মিশ্রকে এডিজি আইজি অর্গানাইজেশন এবং মর্ডানাইজেশন পদে আনা হয়েছে। তবে গোয়েন্দা প্রধান কে হচ্ছেন তা রাজ্যের তরফে জানানো হয়নি। এই রদবদল নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠলেও রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটা রুটিন ট্রান্সফার।
অন্যদিকে, রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের বার বার ব্যর্থতা প্রকাশ্যে এসেছে। কলকাতা পুলিশ শিয়ালদহের কাছে একাধিক অস্ত্রের হদিশ পেয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই অস্ত্র বিহার থেকে আনা হয়েছিল। অন্যদিকে, কসবার কাউন্সিলর সশান্ত ঘোষকে খুনের চক্রান্ত হয়। এক্ষেত্রেও বিহার যোগের সন্ধান পাওয়া হয়। বিহার থেকে ভাড়াটে গুণ্ডা নিয়ে আসা হয়েছিল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে হত্যা করার জন্য। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রে আগাম খবর পেতে ব্যর্থ হয়ে গোয়েন্দা বিভাগ, সেই কারণেই রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধানকে সরানো হল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।