মালদায় তৃণমূল নেতা বাবলা (দুলাল) সরকারের (TMC Leader) খুন নিয়ে তদন্তে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য আরও জটিলতা বাড়িয়েছে (TMC Leader)। স্থানীয়দের দাবি, বাবলা সরকারের খুনের (TMC Leader) আগে থেকেই তাঁর পুরনো বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে কিছু যুবক আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু খুনের পর (TMC Leader) থেকে তাদের আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। সন্দেহ, ওই ঘর থেকেই বাবলা সরকারের (TMC Leader) ওপর নজরদারি চালানো হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তালা ভেঙে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিল করে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাবলা সরকারের (TMC Leader) পুরনো বাড়ি ভেঙে সেখানে বর্তমানে একটি বহুতল তৈরি হয়েছে। সেই বাড়ির কাছেই একটি টিনের চালার পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। বাবলা সরকার খুন হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সেখানে কয়েকজন যুবক থাকতে শুরু করে। ক্রমশ সেই ঘরে অচেনা লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি রাতেই সেখানে মদ ও মাংস সহযোগে পার্টি চলত। পার্টির আওয়াজে আশপাশের আবাসনের বাসিন্দাদের টেকা দায় হয়ে উঠেছিল।খুনের পর, অর্থাৎ ২ জানুয়ারি থেকে ওই ঘরে ফের তালা পড়ে যায়। স্থানীয়দের মতে, খুনের পরিকল্পনা সেখান থেকেই করা হয়েছিল। এই খবর পেয়ে পুলিশ তালা ভেঙে বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং সেটি সিল করে দিয়ে আসে।
বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। তবে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়ার আশঙ্কায় পুলিশ তা করতে পারছে না।
সোমবার নিহত তৃণমূল নেতার পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করেন তাঁর পুত্র। এদিন বাবলা সরকারের বাড়িতে যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবলা সরকারের স্ত্রী। তিনি স্বামীর মৃত্যুর সঠিক বিচার দাবি করেন।এই খুনের ঘটনায় মালদা জুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, খুনের পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বাবলা সরকারের পরিবারেরও অস্থিরতা বাড়ছে। এখন দেখার, পুলিশি তদন্ত কীভাবে এই জটিল ঘটনায় সঠিক উত্তর খুঁজে বের করে।