Birbhum: তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল ও সুদীপ্ত ঘোষের অনুপস্থিতি বাড়াল রাজনৈতিক জল্পনা

বীরভূম: দীর্ঘ তিন মাস পর আজ বোলপুরে (Birbhum) তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এদিন দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা।

তবে এই বৈঠকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কোর কমিটির চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল এবং সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিশেষত যখন বীরভূমের (Birbhum) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন অনুব্রত মণ্ডল ও সুদীপ্ত ঘোষের গরহাজিরি এক নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতি: কি কারণে?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে ডেউচা পাচামিতে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। তবে, দলের কোর কমিটির বৈঠকে তার অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে। বৈঠকে যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে বীরভূমের রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং সাংগঠনিক কাঠামোর শক্তিবৃদ্ধি ছিল প্রধান। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অনুব্রত মণ্ডলের এই অনুপস্থিতি দলের মধ্যে নতুন জল্পনা সৃষ্টি করতে পারে।

বৈঠকের শেষে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল আজ ডেউচা পাচামিতে প্রশাসনিক বৈঠকে গেছেন, তাই তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।” তবে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ কিছুটা বিভ্রান্তি প্রকাশ করে বলেন, “ডেউচা পাচামি নিয়ে আজ কোনো বৈঠক ছিল না, তাই অনুব্রত মণ্ডল কেন উপস্থিত ছিলেন না, সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।”

সুদীপ্ত ঘোষের অনুপস্থিতি: নতুন অন্দরের চাপান-তোর
অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি সুদীপ্ত ঘোষের অনুপস্থিতিও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি কেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দলের মধ্যে এই অনুপস্থিতির জন্য চাপান-তোর এবং জল্পনা তীব্র হতে শুরু করেছে।

ভবিষ্যতের রাজনৈতিক দিক
এই বৈঠকে মূলত বীরভূমের (Birbhum) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধির কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দলীয় কৌশল এবং সংগঠনের ভিত মজবুত করার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, এই বৈঠকের পর দলের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা এবং পরবর্তী নির্বাচনে শক্তিশালী প্রতিযোগিতা দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তবে, অনুব্রত মণ্ডল এবং সুদীপ্ত ঘোষের অনুপস্থিতির কারণে দলের অভ্যন্তরে যে চাপান-তোর বেড়েছে, তা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে এক নতুন প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী দিনে বীরভূমে তৃণমূলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোয় এবং এই জল্পনা কিভাবে দলের সংগঠন এবং নেতৃত্বের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।