সোমবারই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) নির্মাণ করা হবে। হুমায়ুন কবীরের এই মন্তব্যের (Babri Masjid) পরেই রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে (Babri Masjid) বিজেপি ঘোষণা করল, মুর্শিদাবাদে রাম মন্দির তৈরি হবে।
ঠিক যখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হুমায়ুন কবীর বাবরি মসজিদ নির্মাণের কথা বলতেই বিজেপির তরফে রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে বলে সমালোচনা হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, ‘মসজিদ গড়া হবে বলে তার পালটা রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে, বিষয়টা এমন হওয়া উচিত নয়। বাবরি মসজিদ নির্মিত হতেই পারে। রাম মন্দিরও তৈরি করা যেতে পারে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘যিনি বলছেন, বাবরি মসজিদ তৈরি করা হবে, সেই একই ব্যক্তি বলেছিলেন, হিন্দুদের গণহত্যা করা হবে এবং ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হবে। এমন মন্তব্য করার জন্য তাঁকে কোনও শো-কজ নোটিশ ধরানো হয়নি।’
পাশাপাশি অগ্নিমিত্রা পাল রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘এই মন্তব্যের আড়ালে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তিনি তাঁর ভোট ব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য আরও একটা বাংলাদেশ তৈরি করতে চাইছেন। রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে। আমরা অযোধ্য়ায় রাম মন্দির নির্মাণের বর্ষপূর্তি পালন করব। এবং বহরপুরে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।’
অন্যদিকে, বাবরি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বাবরি মসজিদ মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত আবেগের একটি বিষয়। আমরা সকলেই জানি, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। ৩০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও বাবরি মসজিদ পুনরায় নির্মাণ করা হল না।২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মতভাবে একটি রায় ঘোষণা করেছিল। মসজিদ নির্মাণ করার জন্য ৫ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে তা নিশ্চয় গড়ে তোলা হবে।’