অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে তোলাবাজি কাণ্ডে কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) নিখিলরঞ্জন দে-কে তলব করল কলকাতা পুলিশ। শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ ই-মেলের মাধ্যমে তলব করেছে তাঁকে (BJP MLA)। তিন দিনের মধ্যে থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (BJP MLA)। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) নিখিলরঞ্জন দে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে তৃণমূল নেতা তথা কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানকে ফোন করে টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁদের কলকাতার কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেল থেকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের এমএলএ হোস্টেলের একটি ঘরে রাখা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের জন্য এই হস্টেলের বুকিং কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে করে দিয়েছিলেন। এরপরেই বিজেপির ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করেন বলে অভিযুক্তরা। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের ডিপিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো ছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তরা কালনার চেয়ারম্যানকে ফোন করে বলেন যে, তাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে কথা বলছেন। এছাড়াও তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদস্থ সরকারি আধিকারিক বলেও দাবি করেন অভিযুক্তরা। কালনার চেয়ারম্যানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করা হয়। এই ঘটনায় কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের সন্দেহ হয়। তিনি দলের কয়েকজনের সঙ্গে ঘটনাটি আলোচনা করেন। এরপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ফোন করে গোটা বিষয়টি তিনি জানতে চান। পরে জানা যায়, গোটাটাই একটা চক্রান্ত। সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেন এবং সেক্সপিয়ার সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করে তোলা আদায় করার ঘটনা এই প্রথম নয়৷ এর আগেও, শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁরাও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা তুলতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে।