হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বাড়তে শুরু করেছে (Suvendu Adhikari)। জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, মন্দির লুঠ, প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে জঙ্গিরা প্রবেশ করতে শুরু করেছে(Suvendu Adhikari)। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ইজরায়েলের ঢঙেই বাংলাদেশের জঙ্গিদের শিক্ষা দিতে হবে।
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী? শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘গতকাল আচার্য রাম ভদ্রাচার্যজি যে বিবৃতি দিয়েছেন তাকে আমি সমর্থন করি। তিনি বলেছেন, জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী সম্প্রদায়কে টাইট দিতে গেলে অ্যাকশন নিতে হবে। অ্যাকশনটা কী ভাবে নিতে হয় ইজ়রায়েল জানে। ইজ়রায়েলের অ্যাকশন বাংলাদেশে দরকার আছে। আমি ও আমরা সবাই আমেরিকার রাষ্ট্রপতির শপথের জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি নেতৃত্ব দেবেন। মানবতার পক্ষে যে দেশগুলো লড়াই তারা নিশ্চিতভাবে শপথ নেবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশের এই বর্বর হিংস্র মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ চরমপন্থী শক্তিকে দমন করা যাবে না। দমন কী ভাবে করতে হয়, রাম জন্মভূমি যার প্রধান সাক্ষ্যদানের মধ্যে দিয়ে নির্মিত হয়েছে আচার্য রামভদ্রাচার্যজি গতকাল যে বিবৃতি দিয়েছেন একজন হিন্দু হিসাবে আমি তাকে ২০০ শতাংশ সমর্থন করছি। সেই আশায় আছি।’
শুভেন্দু অধিকারী বার বার বাংলাদেশের হিন্দুদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের হিন্দুদের আশ্বাস্ত করে বলেন, ‘৭১ সালে ১৫ মাস ধরে রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানিরা অত্যাচার করেছে ৩০ লক্ষ হিন্দু শহিদ হয়েছে। যার সিংহভাগ হিন্দু বাঙালি। একইভাবে চার – পাঁচমাস অত্যাচার সহ্য করছেন। আর একটু হয়তো সহ্য করতে হবে। কিন্তু ফাইনালি এই জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, চরমপন্থী গোষ্ঠী নিকেশ হবেই, এটা আমার বিশ্বাস।’
অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি সারা ভারত থেকে বাংলাদেশি জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি জঙ্গিদের কাছ থেকে ভারতের জাল পরিচয় পত্র পাওয়া গিয়েছে। সমস্ত ভুয়ো পরিচয়পত্র পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করতে হবে।