ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP President) এই বছরের শেষের দিকে নতুন সভাপতি পাবে। তবে, বিজেপি সূত্রে খবর, ততদিন পর্যন্ত জেপি নাড্ডাই দলের সভাপতির পদে বহাল থাকবেন। জেপি নাড্ডার মেয়াদ এই মাসের শেষের দিকে শেষ হবে, তবে নতুন সভাপতি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি মন্ত্রকের পাশাপাশি দলের কাজও চালিয়ে যাবেন। মোদি সরকার ৩.০-তে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেপি নাড্ডাকে।
জেপি নাড্ডা ছাড়াও, ভূপেন্দ্র যাদব, শিবরাজ সিং চৌহান এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান সহ আরও বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন, যার ফলে সম্ভবত একটি নতুন মুখ বিজেপিকে নেতৃত্ব দেবে। প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়া কয়েকজন প্রাক্তন মন্ত্রীকেও দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নাড্ডা অমিত শাহের পরিবর্তে দলের সভাপতির দায়িত্ব নেন।
বিজেপির জাতীয় সভাপতি হিসাবে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া জেপি নাড্ডাকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মনসুখ মান্ডভিয়া নরেন্দ্র মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
২০১৯ সালে বিজেপির কার্যকরী জাতীয় সভাপতি হওয়ার আগে মোদি সরকারের প্রথম মেয়াদে নাড্ডা একই পোর্টফোলিও ধারণ করেছিলেন। অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর নাড্ডা বিজেপির জাতীয় সভাপতি হন। সভাপতি হিসাবে নাড্ডার মেয়াদ জানুয়ারিতেই শেষ হয়েছিল, কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। আগামী জুনে তার মেয়াদ শেষ হবে। ৬৩ বছর বয়সী নাড্ডা হিমাচল প্রদেশের একমাত্র নেতা যিনি বর্তমান সরকারে জায়গা পেয়েছেন।
নাড্ডা মোদীর প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ মে পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি বিজেপির সংগঠনে বিভিন্ন পদের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রাজ্যে দলের নির্বাচনী প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একসময় হিমাচল প্রদেশের বিজেপি সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন।