নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ দলীয় কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন শুনে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন স্থানীয় পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর গণেশ দাস। থানায় অভিযোগ জানিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল বোমা। এলোপাথাড়ি বোমার আঘাতে প্রানে বেঁচে গেলেও জখম হয়েছেন ওই কাউন্সিলর। তবে চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে, ওই দিনই গভির রাতে পুলিশ ওই বিজেপি নেতাকেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার হালিশহর এলাকায়। আক্রান্ত ব্যক্তি হলেন নৈহাটি পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর গণেশ দাস। যিনি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর ঘনিষ্ঠ বলে পরিরিচিত।২০১৫ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে অর্জুন সিং-এর বিজেপিতে যোগদানের পর গণেশ দাসও গত বছরে বিজেপিতে যান।
শনিবার গভীর রাতে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করেই বোমা ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।পরে আবার গণেশবাবুকেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে শনিবার নৈহাটি বিধানসভার বালিভারা অঞ্চলে এক বিজেপি কর্মীর উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। রাজ্য জুড়ে চলা সম্পূর্ণ লকডাউনের মধ্যে ওই হামলায় গুরুতর আহত হন বিজেপি কর্মী মানিক। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি শিবির।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন রাতেই কাচরাপাড়া স্টেশন লাগোয়া বীজপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান গণেশ দাস। এফআইআর করে ফেরার পথে হালিশহরের বকুলতলা ও বলদেঘাটায় নৈহাটির বিদায়ী কাউন্সিলর বিজেপি নেতা গনেশ দাসের গাড়িতে পর পর বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন গণেশবাবু। তবে বোমার স্প্লিন্টারে তিনি জখম হয়েছেন।ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়িটি।
নৈহাটি পুরসভার ওই বিদায়ী কাউন্সিলরের গাড়ি লক্ষ্য করে প্রায় ১৫টি বোমা ছোঁড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। হালিশহর পৌরসভার পর থেকে বলদেঘাটা পর্যন্ত এক টানা গাড়ি লক্ষ করে বোম মারা হয়। গাড়ির দরজা, জানলা ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে বোমার আঘাতে। এরপরে রাত একটা বেজে ২০ মিনিট নাগাদ বিজেপি নেতা গণেশ দাসকেই তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় বীজপুর থানার পুলিশ।