মা দুর্গা তাঁর চার সন্তানের সঙ্গে পূজিত হন (Bonedi barir puja)। এটাই দেখে আসছে বাংলার মানুষ। কিন্তু এই বাড়িতে দেবী একাই আসেন। এখানে শুধু একা দেবী দুর্গার পুজো হয় (Bonedi barir puja)। দুর্গাপুজোর পুরনো নিয়ম এখানে এখনও চলে আসছে। প্রায় ৬০০ বছর ধরে নদিয়ার শান্তিপুরে মা দুর্গা পূজিত হন (Bonedi barir puja)।
নদিয়া শান্তিপুরে রায় বাড়ি (Bonedi barir puja)। পুরনো দোতলা বাড়ি। সামনের দিকে কিছুটা অঞ্চল ফাঁকা রয়েছে (Bonedi barir puja)। বাড়ির একদিকে আধুনিকতায় ছোঁয়া লেগেছে। সামনের ফাঁকা জায়গাতে ছয় শতক বছর ধরে মা পূজিত হয়ে আসছেন (Bonedi barir puja)। শান্তিপুর স্টেশন থেকে মিনিট ২০ গাড়িতে করে গেলে এই রায়বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। রায়বাড়ির দুর্গাপুজো নিয়ে স্থানীয় মানুষের আবেগ রয়েছে চোখে পড়ার মতো।৬০০ বছরের বেশি রায় বাড়ির দুর্গা পুজো। এখানে মা দুর্গা কুলোপতি নামে পূজিত হন। দেবীর রূপ খুব সাধারণ। তবে অসুরের চেহারার পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। দেবী দশ হাতে অসুর বধ করছেন। তবে আগে অসুরের হাতে থাকত খড়গ। সেখানে এখন অসুরের অস্ত্র বলতে মাটির তলোয়ার। একদম শুরুর দিকে কুলোকে দেবী হিসেবে পুজো করা হয়। তারপর মূর্তি তৈরি হয়। তার পুজো হয়। সেই মূর্তি হয় শুধু মা দুর্গার।
রায় বাড়ির পুরনো কথা শুনলে জানা যায়, এই বাড়ির কর্ত্রী প্রথমে কুলোয় দেবীর ছবি এঁকে পুজো করেছিলেন। এরপর থেকেই শান্তিপুরের রায়বাড়ির মা দুর্গা কুলো দেবী হিসেবে পরিচিত হন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ৬০০ বছরের পুরনো এই পুজোতে প্রথম থেকেই মা দুর্গাকে একা পুজো করা হয়। তাঁর সঙ্গে তাঁর সন্তানরা থাকেন না। এই বাড়ির পুজোর রীতি অন্য পুজোর থেকে আলাদা। দশমীর দিন দেবীকে পায়েস খাইয়ে বিদায় জানানো হয়। এবারেও কুলোদেবীর পুজো উপলক্ষে রায় বাড়ি সেজে উঠেছে। এই পরিবারের অনেক সদস্যই দূর দূরান্তে থাকে। কেউ দেশের অন্য কোনায় তো কেউ বিদেশে থাকেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা পুজোর সময় বাড়িতে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। পরিবারের সদস্যরা যাঁরা বাইরে রয়েছেন তাঁরা বাড়িতে আসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।