চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল (Bongaon)। মৃতের পরিবার চিকিৎসার গাফিলতি ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে (Bongaom)। তবে চিকিৎসক চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে (Bongaon)।
জানা গিয়েছে, প্রসূতি তিন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ৬ নভেম্বর প্রচণ্ড পেটে ব্যথা হয় প্রসূতির। তাঁকে বনগাঁর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক মলয়কৃষ্ণ সাহার অধীনে চিকিৎসা শুরু হয় অন্তরা পাল নামের ওই প্রসূতির। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও কোনো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তাঁর চিকিৎসা করেননি। দুই দিন কেটে গেলেও অন্তরা দেবীর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরিবারের তরফে বার বার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু চিকিৎসক ময়লকৃষ্ণ সাহা পরিবারের অনুরোধ সত্ত্বেও কোনও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেননি। তিনি বলেন, রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অন্তরা পালের শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়, বনগাঁ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে রোগীকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু সেখানে গিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি, মৃত্যু হয় প্রসূতির।
এর পরই মৃতের পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ইতিমধ্যে বনগাঁ থানায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও চিকিৎসক মলয়কৃষ্ণ সাহা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “পেটে মৃত সন্তান ছিল। আমি ওঁদের বাড়ির লোকজনদের বলেছিলাম। কিন্তু ওঁরা অপারেশন না করেই চিকিৎসা চেয়েছিলেন। আমি ওঁদের অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেছিলাম। ওঁরা শোনেননি। তাই দুদিন রেখে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।”
অন্যদিকে, চিকিৎসকের দাবি পরিবারের তরফে অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, বার বার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছিল চিকিৎসককে। কিন্তু তিনি কোনও কথা কর্ণপাত করেননি। তদন্তে নেমেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে।