আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) বড় ধাক্কা। নির্যাতিতার (RG Kar) পরিবারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর লড়াই করবেন না বৃন্দা গ্রোভার। আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার আইনজীবী থেকে সরে এলেন বৃন্দা গ্রোভার। সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ের জন্য নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা-মাকে নতুন আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে।
জানা গিয়েছে, আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা আদালতে বৃন্দা গ্রোভারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর বৃন্দা গ্রোভারকে ফোন করে আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা জানান। তারপরেই এই মামলা থেকে বৃন্দা গ্রোভার সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এবার সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের হয়ে সওয়াল করবেন অন্য আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি শিয়ালদহ আদালত, কলকাতা হাইকোর্টেও নতুন আইনজীবী নিয়োগ করা হবে বলে নির্যাতিতার বাবা-মা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে বৃন্দা গ্রোভারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছু নির্দিষ্ট কারণ এবং পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বিগত তিন মাসে যাবতীয় নিয়ম মেনেই আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সিবিআইয়ের সঙ্গেও সহযোগিতা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সিবিআই-এর গোয়েন্দাদের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল জানান, তদন্তের গতিবিধি নিয়ে প্রতিনিয়ত তিলোত্তমার বাবা-মা’কে জানানো হচ্ছে। এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা সাফ জানান, সিবিআই মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের এই মন্তব্যের কেন বিরোধিতা করা হয়নি বলে আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা বৃন্দা গ্রোভারের কাছ থেকে জানতে চান। এই নিয়ে দুই তরফের কথা-বার্তার পরেই বৃন্দা গ্রোভার আরজি কর মামলা থেকে সরে দাঁড়ান।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা। পাশাপাশি হতাশা প্রকাশ করেছেন আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামা নাগরিক সমাজের একাংশ। আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “হতাশ কিছুটা হয়েছি। তবে আশা হারাইনি। আশা হারালে তো মেয়ের বিচারই পাব না। লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা এখন মিনিট, সেকেন্ড করে দিন গুনি। মেয়েকে কেন মারা হয়েছে, আজও জানতে পারলাম না। এটা না জেনে বেঁচে থাকার কোনও মানে হয় না।”