ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রীর (Britain’s Finance Minister) দায়িত্ব পেলেন একজন মহিলা। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে গতকাল শুক্রবার র্যাচেল রিভসের নাম ঘোষণা করেন নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন র্যাচেল। ব্রিটেনের ৮০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।
শিক্ষাজীবন থেকেই লেবার পার্টির সাথে জড়িত ছিলেন অর্থমন্ত্রী (Britain’s Finance Minister) র্যাচেল। ২০১০ সালে প্রথমবার এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ৪৫ বছরের এই রাজনীতিক ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে কাজ করেছেন। ছায়ামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন একাধিকবার।
২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ছিলেন জ্বালানি ও শিল্প কমিটির প্রধান। কেইর স্টারমার লেবার প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বাণিজ্য ও অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন র্যাচেল।
ব্রিটেনে অর্থমন্ত্রীর পদের নাম ‘চ্যান্সেলর অব একচেকার’। অর্থমন্ত্রী (Britain’s Finance Minister) হওয়ার পর ব্রিটেনের আর্থিক অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছেন র্যাচেল রিভস। তিনি বলেন, রক্ষণশীল সরকার একটি ক্ষয়প্রাপ্ত অর্থনীতি রেখে গিয়েছে, যা নতুন সরকারের জন্য একটি “চ্যালেঞ্জ” তৈরি করবে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়, দুটি বাদে শুক্রবার পাওয়া যায় ৬৪৮টি আসনের ফল। গতবারের চেয়ে ২১৪টি আসন নিয়ে কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি এবার ৪১২টিতে জয় নিশ্চিত করেছে। আর গতবারের চেয়ে ২৫২টি আসন হাতছাড়া হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির, তারা এবার পেয়েছে ১২১টি আসন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেওয়া প্রথম বক্তব্যে ৬১ বছর বয়সী স্টারমার সরকারের প্রধান পাঁচটি ‘মিশনের’ কথা উল্লেখ করে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নিরাপদ সীমান্ত ও জনগণের চলার পথকে আরও নিরাপদ করার কথাও বলেন তিনি।
স্টারমার সরকারের সামনে রয়েছে স্থবির অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও ক্ষয়িষ্ণু সরকারি সেবা খাত। পাশাপাশি গত কয়েক বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্দশার মতো বিষয়গুলোও রয়েছে। স্টারমার তার বক্তব্যে জনগণকে প্রত্যাশা পূরণে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশকে পরিবর্তন করা কোনো সুইচ টেপার মতো বিষয় নয়। গোটা বিশ্বই এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি অস্থির। এ জন্য একটু সময় প্রয়োজন।