নিজস্ব প্রতিনিধি, পেট্রাপোল: আইসিপির মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে টাকা পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক তিনজন পাচারকারী। শনিবার ৬মে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে আইসিপি পেট্রাপোল, ১৪৫ ব্যাটেলিয়ন জওয়ানরা পাচারকারীদের থেকে বাংলাদেশী ২লক্ষ ১হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে।
শনিবার কর্তব্যরত বিএসএফ কর্মীরা আইসিপি পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ৩ জন সন্দেহভাজন যাত্রীকে থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশি চলাকালীন তাদের কাছ থেকে অবৈধ বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। জওয়ানরা যাত্রীদের কাছে মুদ্রার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। এরপরে ওই তিন যাত্রীদের আটক করা হয় এবং শুল্ক আইন, ১৯৬২ লঙ্ঘন করে মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করা হয়। আটক পাচারকারীরা হলেন অমিত কুমার মজুমদার, অঙ্কন মজুমদার এবং সুনীল বিশ্বাস, সকলেই নদীয়া জেলার বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে অমিত কুমার মজুমদার জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত এবং সুযোগ পেলেই পাচার করত। এই বাংলাদেশি মুদ্রাটি পেট্রাপোলে রাকেশ (যে পেট্রাপোলে মুদ্রা কাউন্টার চালায়) এর কাছ থেকে অবৈধভাবে পেয়েছে। এরপর পেট্রাপোলে এসে বাকি ০২ যাত্রীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এই মুদ্রা বিতরণ করেন। তিনি যাত্রীদের বলেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর তাদের কাছ থেকে মুদ্রা ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু পথে, বিএসএফ তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে এবং নতুন ইমিগ্রেশন এলাকায় তাকে ধরে ফেলে।
বাজেয়াপ্ত বাংলাদেশী মুদ্রাসহ আটক যাত্রীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিএসএফ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না।