নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:বোতাম নিয়ে খেলাচ্ছলে নাকের ভেতর বোতাম ঢোকানোর চেষ্টা করে বছর চারেকের শিশুকন্যা অদ্রিশা। কিন্তু অকারনবশত সেই বোতাম ঢুকেও যায় নাকের ভেতরে! এরপরই, শুরু হয় কান্না। ছুটে আসেন বাবা-মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এদিক-ওদিক খোঁচাখুঁচি করাতে সেই বোতাম নাক থেকে চলে যায় শ্বাসনালীতে! শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।
তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু, আনন্দপুর থানার (কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত) সোলডিহা গ্রাম থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে শালবনী-তে নিয়ে যাওয়ার পথে ছোট্ট অদ্রিশা’র শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায় এবং শরীর প্রায় নীল হয়ে যায়! দ্রুততার সাথেই পৌঁছয় শালবনী হাসপাতালে। সাথেসাথে হাসপাতালের সার্জেন ডাঃ সন্দীপ চ্যাটার্জি আর কোনো কিছু ভাবার বা রেফার করার ঝুঁকি না নিয়েই সোজা বেডে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দেন ছোট্ট অদ্রিশাকে।
তারপর অদ্রিশা-র শরীর অসাড় (লোকাল অ্যানাস্থেসিয়া) করে ওই বোতাম বের করার চেষ্টা করেন।তাঁকে সহযোগিতা করেন অন্যান্য চিকিৎসক ও নার্সরা। হয়তো আরও কিছু সময় দেরি হলেই ঘটে যেতে পারতো মারাত্মক দুর্ঘটনা কিন্তু না, কয়েক মিনিটের মধ্যেই সার্জেন ডাঃ সন্দীপ চ্যাটার্জি বেড় করে ফেলেন সেই বোতাম, প্রাণ বাঁচে অদ্রিশা’র। কয়েকঘন্টার মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায় অদৃশা। তবে চিকিৎসকের এই চিকিৎসায় ছোট্ট কন্যা শিশুর প্রাণ রক্ষায় খুশি পরিবার পাশাপাশি প্রশংসার ঝড় স্থানীয়দের।