বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই করছে। এই বয়সে সন্তান নিতে চান কাশীপুরের দম্পতি। কিন্তু পথের কাঁটা হয়েছিল বয়স (Calcutta High Court)। বয়সের কারণেই টেস্ট টিউব বেবি নিতে গিয়ে পড়তে হয়েছে আইনি বাধার মুখে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন সেই দম্পতি। মুখে ফুটল হাসি। টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার পক্ষে সম্মতি জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আগেই আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নিতে চান বলে পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্লিনিকে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ক্লিনিকের তরফে জানানো হয়, এই পদ্ধতিতে সন্তান নিতে গেলে যে বয়স দরকার, তা তাঁরা পেরিয়ে গিয়েছেন। তাই এই প্রক্রিয়া কোনওভাবে করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তাঁরা আবেদন করেন ক্লিনিকে। জুন মাসে তাঁদের আবেদনের উত্তর দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ক্লিনিকের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, এই পদ্ধতিতে সন্তান নিতে গেলে পুরুষের বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৫৫ বছর। মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স হবে ৫০ বছর। কিন্তু এক্ষেত্রে দম্পতির বয়স ৫৮ বছর। তাই আইনি কারণে তাঁরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন না।
কিন্তু তাঁরা যে কোনও মূল্যে সন্তান চান। ক্লিনিকের তরফে উত্তর পাওয়ার পরেই তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের শরনাপন্ন হন। সেখানেও সাড়া মেলেনি। এরপরেই ওই দম্পতি হাইকোর্টের শরনাপন্ন হন। জানা গিয়েছে, শুনানির সময় বিচারপতি অমৃতা সিনহা দম্পতিকে একাধিক প্রশ্ন করেন। এই বয়সে সন্তান নিলে, তাঁরা কীভাবে মানুষ করবেন? এই বয়সে তাঁরা সন্তান সামলাতে পারবেন কি না। তবে এই প্রসঙ্গে দম্পতির আইনজীবী জানান, আর্থিক দিক থেকে সন্তানকে মানুষ করার কোনও সমস্যা হবে না। শুধু তাই নয়, এই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে সন্তান নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই দম্পতিকে টেস্ট টিউব বেবি নেওয়া পক্ষে রায় দেন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এই জয়ে স্বাভাবিকভাবে খুশি দম্পতি।