রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওঠা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)একটি জনস্বার্থ মামলা ওঠে। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএম শিবজ্ঞাম জানান, যে অভিযোগগুলো থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে উঠছে, তার একটা প্রমাণ হলেও উদ্বেগজনক। প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিক্রি, বদলি, টুকল-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের বিষয়গুলো উল্লেখ করে চিকিৎসক অর্চিস্মান ভট্টাচার্য ও এক সমাজকর্মী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার প্রধান (Calcutta High Court) বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।
রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোর পরিস্থিতি বলতে গিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ প্রধান বিচারপতি(Calcutta High Court) । তিনি বলেন (Calcutta High Court), এক মহিলা চিকিৎসক বলছেন, তাঁর বাবা তাঁকে নিরাপত্তার জন্য ছুরি দিয়ে পাঠাচ্ছেন। আর এক মহিলা চিকিৎসক বলছেন, তিনি কর্মক্ষেত্রে পেপার স্প্রে নিয়ে যান। প্রধান বিচারপতি বলেন, এই ঘটনায় তিনি বিস্মৃত। তিনি বলেন, “হাসপাতালের ৬০ শতাংশ মহিলা চিকিৎসক বিভিন্ন ভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হন।” আগামী ২১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। প্রভাব খাটিয়ে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে শাসদদল ঘনিষ্ঠ একাধিক জনের বিরুদ্ধে। আরজি কর কাণ্ডের পর এই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন খোদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূর। তিনি হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পরেই একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে হাসপাতল কর্তৃপক্ষ। আরজি করে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের নাম তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। শুনানিও হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এক একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০ জন সাক্ষ্য দিচ্ছে।