আরজি কর কাণ্ডের পর নতুন করে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে (Calcutta High Court)। আইএএস অফিসার অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হ(Calcutta High Court) য়েছে, সেখানে প্রশ্নের মুখে ফের উঠে এসেছে পুলিশের ভূমিকা। ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার পরেও কেন কোনও মেডিক্যাল হল না, সেই নিয়ে আদালত (Calcutta High Court) প্রশ্ন তোলে। নিম্ন আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত জামিনে ছিলেন। সেই জামিন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি তদন্তকারী অফিসারকে বদল করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, আরজি করের মতো এই ঘটনাতেও রাজ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি ভরদ্বাজ বলেন, নির্যাতিতাকে অভিযুক্তের পরিবার যেভাবে থানায় বসে হুমকি দিয়েছিল, সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে কোনও তদন্ত হয়নি। শুক্রবার হাইকোর্ট অভিযুক্তের জামিন বাতিল করেছে। আগাম জামিনের আবেদনও বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও বদল করা হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিক। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে মামলা হস্তান্তর করা হচ্ছে। পাশাপাশি লেক থানার ওসি, একজন সাব ইন্সপেক্টর, একজন সার্জেন্ট এবং তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “লালু প্রসাদের আমলে বিহারে এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল, এবার সেই একই অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লালু প্রসাদ যাদব, দুজনেই বর্তমানে ইন্ডিয়া জোটের অংশ।” ঘটনায় আরজি করের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন অমিত মালব্য।
শুক্রবার রাজ্যের তরফে হাইকোর্টে বলা হয়, নির্যাতিতা যেদিন অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেদিন লেক থানায় কোনও মহিলা পুলিশ ছিলেন না। তাই সেদিন কড়োয়া থানা থেকে একজন মহিলা আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর সামনেই নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। নির্যাতিতা নিজে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করেছিলেন। সেই রিপোর্ট পুলিশকে জমা দিয়েছিলেন। সেখানে ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও কোনও রক্তক্ষরণ হয়নি।