২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছিলেন (Calcutta High Court)। তারপর থেকেই দুর্গাপুজো করে এমন ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়া হয়। প্রায় প্রতিবছরই অনুদানে সেই অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়। সেই অনুদান নিয়ে তির্যক মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন(Calcutta High Court), “৮৫ হাজারে কী হয়? আপনারা ক্লাবগুলোকে ১০ লক্ষ করে টাকা দিন।”
পুজোর অনুদানের ৮৫,০০০ টাকা কোথা থেকে আসছে, এই প্রশ্ন তুলেই জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে(Calcutta High Court) । সৌরভ দত্ত নামের এক ব্যক্তি আগেও মামলা করেছিল (Calcutta High Court) পুজোর অনুদানের অর্থ নিয়ে। সেই মামলাতেই নতুন করে আবেদন করেন। এই মামলায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই টাকার উৎস কী? ক্লাবগুলি এই টাকা গাইডলাইন মেনে খরচ করছে কি না। এই মামলার শুনানির সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, “৮৫ হাজার টাকায় প্যান্ডেল বা পুজোর কোনও কাজ হওয়া সম্ভব নয়। এই টাকায় খুব বেশি হলে একটা তাঁবু বানানো যেতে পারে। আর না হলে কার্যকরী কমিটির সদস্যদের কাজে লাগতে পারে। আমি দু’বছর পুজোয় ঘুরে দেখেছি যে এই টাকায় কিছু হয় না। অনুদানের টাকা কমপক্ষে ১০ গুণ বাড়ানো হলে সেটা পুজোর কাজে লাগতে পারে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, দুর্গা পুজো পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য। সেই কারণে পুজো কমিটিগুলোকে এই টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এই টাকা প্রান্তিক অঞ্চলে কাজে লাগতে পারে। কিন্তু এখানে এই টাকায় কিছুই হয় না।
দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের সরকার এক হাজার টাকা দেয়। এই বিষয়ে একটি মামলা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, কার্ড থাকার পরেও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিশুরা এই টাকা পাচ্ছেন না। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেন, এক হাজার টাকা অনেকটাই কম। সরকারের উচিৎ এই টাকা বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা। এদিন চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়েও হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য।